রুমা পাল, কলকাতা: আত্মহত্যাই করেছেন দিনহাটার বিজেপি নেতা অমিত সরকার। খুনের তত্ত্ব খারিজ করে নির্বাচন কমিশনে এই রিপোর্ট দিলেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। মৃতের স্ত্রী-ও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাননি বলে উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। এই নিয়ে ফের তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি।


খুন নয়, আত্মহত্যা ৷ কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এই রিপোর্টই দিলেন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। গত বুধবার, কোচবিহারের দিনহাটায়, পশু হাসপাতালের বারান্দায় বিজেপির শহর মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হেমতাবাদের বিজেপি নেতা দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মতোই দিনহাটায় অমিত সরকারকেও তৃণমূল খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে, এই অভিযোগে রাস্তায় নামে বিজেপি। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দিনহাটার পরিস্থিতি।


কিন্তু, শেষঅবধি বিজেপির খুনের তত্ত্বকে কার্যত নাকচ করে দিল নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের রিপোর্ট। কমিশন সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে যে রিপোর্ট বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক দিয়েছেন, তাতে উল্লেখ রয়েছে,বিজেপি নেতা অমিত সরকার দলীয় প্রার্থীপদ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। তিনি ডিপ্রেশনে চলে যান এবং ওষুধও খাচ্ছিলেন না। কমিশন সূত্রের খবর, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক মহিলা সহকর্মীর আচরণে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বলে অমিত সরকার তাঁর সুইসাইড নোটে উল্লেখও করেছেন। মৃতের স্ত্রীও সরাসরি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাননি বলে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনটাই কমিশন সূত্রের খবর। আর বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটে ফায়দা তুলতেই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।


যদিও, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব, নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্ট মানতে নারাজ। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘‘আমরা মন্তব্য করব না, পুলিশ তো এদের হাতেই, আমরা তো বলছি মার্ডার, ভয়ের চোটে তিনি হয়তো কিছু বলেননি ৷’’ আগামী ১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফায় কোচবিহারের ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ। দিনহাটায় এবার সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তৃণমূলের প্রার্থী, প্রয়াত বামপন্থী নেতা কমল গুহর ছেলে উদয়ন গুহ। সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী ফরওয়ার্ড ব্লকের আব্দুর রউফ।