মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: কার্শিয়ঙে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যালয় অর্কিড দিয়ে সাজিয়ে বিজেপিকে কড়া বার্তা দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয়পন্থী নেতারা। পাহাড়ের এতদিনের রাজনীতির পাঁকেই এবার ফুটবে পদ্ম, পাল্টা হুঙ্কার বিজেপির।


ভোটের উত্তাপ ছুঁয়েছে পাহাড়কেও। একুশের নির্বাচনী লড়াইয়ে পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে জট।


একদিকে যেখানে প্রকাশ্যে বিমল গুরুঙ্গের সমর্থন পেয়ে এবার পাহাড়ের তিনটি আসন দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়ং আসন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণার অভিযোগ এনে সুর চড়িয়েছে পাহাড়ে তাদের জোটসঙ্গী জিএনএলএফ। এরই মধ্যে কার্শিয়ং সাব ডিভিশন এলাকার জন্য খোলা একটি নির্বাচনী কার্যালয়কে অর্কিড দিয়ে সাজিয়ে পদ্মশিবিরকে বার্তা দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয়পন্থী শিবির।


অর্কিডের দেশ কার্শিয়ং-এ পদ্মের জয়জয়কার নয়, শেষ হাসি হাসবেন স্থানীয় কোনও প্রার্থীই, বার্তা বিনয়পন্থী নেতাদের। কার্শিয়ংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয়পন্থী নেতা সমীর দীপের দাবি, ‘এটা একটা চিহ্ন। কার্শিয়ঙকে ‘ল্যান্ড অফ দ্য হোয়াইট অর্কিড’ বলে ডাকা হয়। এখানে পদ্ম ফুটবে না। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রার্থীই জিতবে।’


বিজেপি শিবিরে অবশ্য শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর। পাহাড়ে এতদিনের জমা রাজনীতির পাঁকেই ফুটবে পদ্ম, দাবি গেরুয়া শিবিরের। কার্শিয়ংয়ের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি মদন যোগীর দাবি, ‘কার্শিয়ঙকে ‘ল্যান্ড অফ দ্য হোয়াইট অর্কিড’ বলা হয় এটা ঠিক। কিন্ত মানুষ পরিবর্তন চাইছে। এখানে পদ্ম ফুটবে, বিজেপি আসবে। পাহাড়ে নোংরা রাজনীতি চলেছে। পাঁকেই তো পদ্ম ফলে। তাই এখানে পদ্মই ফুটবে।’


১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পংয়ে ভোটগ্রহণ। এখন দেখার, ২ মে ভোটের ফলে অর্কিডের দেশে পদ্ম ফোটে কিনা?


অন্যদিকে, পাহাড়ের তিন কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে বিজেপি-জিএনএলএফ জটিলতা। জিএনএলএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মন ঘিসিং জানিয়েছেন, বিজেপি একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণা করায় তাঁরা সম্পর্ক ছেদের কথা ভাবছেন। দার্জিলিং আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে জিএনএলএফ নেতা ও দার্জিলিঙের বিধায়ক নীরজ তামাং জিম্বাকে। কালিম্পঙের বিজেপি প্রার্থী শুভ প্রধান এবং কার্শিয়ঙে প্রার্থী হয়েছেন বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা।