নদিয়া:  তেহট্টের জনসভায় ভাষণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেছেন,  'প্রচারের দিন কমিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  তিনি বলেছেন, এবারের নির্বাচন বাংলার মর্যাদা রক্ষার নির্বাচন। বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতির রক্ষার নির্বাচন। দিল্লির নেতারা আসছে বহিরাগত গুণ্ডাদের নিয়ে। বহিরাগতরা আসছে, করোনা  করোনা ছাড়াচ্ছে'। তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, হাওড়ার এক বিজেপি প্রার্থী করোনা নিয়েই বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছেন।


মমতা বলেছেন, করোনা কারুর হতেই পারে। কিন্তু আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করাতে হবে। হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। তৃণমূুল প্রার্থীরও করোনা হয়েছে। কিন্তু তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। তাঁর কাজ করে দিচ্ছে দলের কর্মীরা। তাঁর অভিযোগ, হাওড়ার ওই বিজেপি প্রার্থী নিয়ম মানেননি। করোনা নিয়েই বাড়ি বাড়ি ভোটের প্রচার করেছেন।


তিনি আরও বলেছেন, আমি বাকি দফাগুলির ভোট এক দফায় করার দাবি জানিয়েছিলাম।  কিন্তু কমিশন তা করেনি। বিজেপির কথা শুনে ভোটের দফা না কমিয়ে প্রচারের সময় কমিয়ে দিয়েছে। ভোটের দফা কমালে এভাবে করোনা ছড়াত না।


উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই করোনা নিয়ে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিনও বলেছেন, বিজেপি বহিরাগতদের নিয়ে আসছে। তারা রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছে।


মমতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সভার প্যান্ডেল করতে বাইরে থেকে লোকজন আনা হচ্ছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে লোক আনা হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছে।


তিনি বলেছেন, এর আগে পাঁচ-ছয় মাস রাজ্যে করোনা ছিল না। তখন টিকা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, রাজ্য ইঞ্জেকশন কিনে নেবে এবং নিখরচায় রাজ্যের মানুষকে তা দেবে। কিন্তু সেই অনুমতি কেন্দ্র দেয়নি।


মমতা বলেছেন, এখন তো ওষুধও দিচ্ছে না কেন্দ্র। বিভিন্ন রাজ্য়ই এই অভিযোগ করছে। 


প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'আগে বলেছিলেন ১৫ লক্ষ করে টাকা দেব। ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়ে কাউকে একটা পয়সা দেয়নি। এখন রান্নার গ্যাসের দাম এক হাজার টাকা হয়ে গিয়েছে। বিনা পয়সায় চাল দেব। আর এক হাজার টাকার গ্যাসে তা ফোটাবেন! আগে বিজেপিকে ফুটিয়ে দিন'।