সুনীত হালদার, হাওড়া: দুই প্রার্থীর নামই এক। আর তা নিয়েই এবার চাপানউতোর। ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে অরূপ রায় নামের এক ব্যক্তিকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ মধ্য হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ রায়ের। যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।


নামে কী আসে যায়? শেক্সপিয়ার বলেছিলেন,গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক, তাঁর গন্ধ মিষ্টিই থাকবে। কিন্তু, ভোটের ময়দানে প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও কি তাই? না। কারণ, ভোট-যুদ্ধে একজন প্রার্থীর নাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের মুখে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন মধ্য হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী তথা মন্ত্রী অরূপ রায়। তাঁর অভিযোগ, ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে অরূপ রায় নামের এক ব্যক্তিকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। মধ্য হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ রায় বলেন, ‘‘এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। এতে কোনও লাভ হবে না কারণ ব্যালট আমার নাম এক নম্বরে রয়েছে। নামের পাশে রয়েছে ঘাসফুল প্রতীক। তাই ভোটাররা সহজে বিভ্রান্ত হবেন না।’’


এর আগে দু’বার ওই কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন অরূপ রায়। ২০১১ সালেও এই কেন্দ্রে ছিল অরূপ বনাম অরূপ। তৃণমূল প্রার্থী অরূপ রায়ের প্রতিপক্ষ ছিলেন সিপিএম প্রার্থী অরূপ রায়। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করতে তখন, নিজের নামের পাশে ডাকনাম অপু নিয়ে প্রচার করেছিলেন অরূপ। তৃণমূলের অভিযোগ, এবারেও ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে একই কাজ করা হয়েছে। যদিও, তৃণমূলের এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, ‘‘ডামি ক্যান্ডিডেট বলে কিছু হয় না। এখানে সবাই প্রার্থী। বিজেপি ওই কেন্দ্রে শুধুমাত্র দলীয় প্রার্থী সঞ্জয় সিংহকে দাঁড় করিয়েছেন। এর বাইরে কোন প্রার্থীকে দাঁড় করায় নি।’’ দুই প্রার্থীর একই নাম। ভোটে কি এর কোনও প্রভাব পড়বে? তার উত্তর মিলবে ২ মে ফল বেরনোর পর।