সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমনাথ মিত্র, হুগলি: হুগলির পুরশুড়ায় প্রচারে বেরিয়ে দলের সাংসদকেই চোর বললেন তৃণমূল প্রার্থী। এনিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সাংসদ। অন্যদিকে, ধনেখালিতে প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে এলাকা ছাড়লেন তৃণমূল প্রার্থী। দু’টি ক্ষেত্রেই ভাইরাল হয়েছে ভিডিও।
ভাইরাল ভিডিওয়ে পুরশুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিলীপ যাদবকে দেখা গিয়েছে বলতে, অপরূপা পোদ্দার ও নরুজ্জামানের মতো চোর নই, আমাকে বিশ্বাস করুন ।
ভোটপ্রচারে বেরিয়ে হুগলির পুরশুড়ার তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ যাদবের এই মন্তব্য ভাইরাল হতেই জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর এই ইস্যুতে শাসক দলকে চেপে ধরেছে বিজেপি। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী বদল হয়েছে। ২০১৬-র ভোটে জয়ী মহম্মদ নরুজ্জামানের বদলে, লড়াইয়ে এবার হুগলির তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। দিনকয়েক আগে প্রচারে বেরিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন তিনি। নিজের দলেরই আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ও পুরশুড়ার বিধায়ককে চোর বলে দেগে দেন তৃণমূল প্রার্থী।
দিলীপ যাদবের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আরামবাগের সাংসদ। প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি মহম্মদ নরুজ্জামানের। আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন,‘‘আমিও সৈনিক উনিও সৈনিক, একজন সৈনিকের বিরুদ্ধে আরেকজন কটূক্তি করছে, তার দায়ভার তাঁকেই নিতে হবে, কেন বলেছেন জবাবদিহি করতে হবে ৷’’
ভোটের মুখে শাসকের অন্দরে চাপানউতোর শুরু হতেই, তৃণমূলকে বিঁধে আক্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি বিজেপি। তবে তাঁর মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হলেও, এনিয়ে পরে কিছু বলতে চাননি দিলীপ যাদব।
এদিকে, বুধবার ধনেখালির চকহিরণ্যবাটি গ্রামে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী অসীমা পাত্র। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে একশো দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত। ধনেখালির চকহিরণ্যবাটির বাসিন্দা বাবর আলি জানান, ‘‘২ বছর ধরে ১০০ দিন নেই সরকারি সুবিধা নেই, অভিযোগ জানানোর সময় ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় ৷’’
গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তৃণমূল প্রার্থী। বিক্ষোভের এই ছবিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও এক্ষেত্রেও এবিপি আনন্দ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। ধনেখালির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অসীমা পাত্র বলেন, ‘‘বিজেপির অপপ্রচার, বিজেপির লোকজন ভুল বোঝাচ্ছে, বিজেপি বাধা দেয়, বিজেপির লোক ছবি তুলছিল ৷’’ ধনেখালির বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অজয় কৈরি বলেন, ‘‘অসীমা ও তাঁর লোকজন মারার হুমকি দেন ৷’’
সব মিলিয়ে ভোটের মুখে পুরশুড়া আর ধনেখালির ঘটনায় কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল শিবির।