সনৎ ঝা, দার্জিলিং: সব জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে মুখ করে ভোট হয় না। দলকে জেতাতে ভাল প্রার্থী দিতে হয়। প্রথম দিন প্রচারে নেমেই সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শিলিগুড়ির তৃণমূলত্যাগী নেতা ও নির্দল প্রার্থী নান্টু পাল। এমন মন্তব্যের জবাব দিতে রুচিতে বাধে। প্রতিক্রিয়া তৃণমূল নেতৃত্বের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বলেছিলেন, “প্রার্থী কে হচ্ছে সেটা নিয়ে ভাববেন না? আমাকে চাইলে ভোটটা দেবেন। প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করবে। যে দলবদল করে চলে যাবে না। মানুষের হয়ে কাজ করবে।” শিলিগুড়ির তৃণমূল ত্যাগী নির্দল প্রার্থী নান্টু পাল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দিয়ে ভোট হয় না। তাহলে এত এত তারকা প্রার্থী দাঁড় করাতে হোত না। কেন্দ্রে একটা ভাল মুখ দরকার ৷’’
পয়লা প্রচারেই গোলন্দাজ শিলিগুড়ির তৃণমূল ত্যাগী নেতা নান্টু পাল। নির্দল প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেছিলেন আগেই। মঙ্গলবার প্রথম প্রচার শুরু করলেন সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে। তৃণমূলনেত্রী শিলিগুড়ি বিধানসভা আসনে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে প্রার্থী ঘোষণা করার পর, ক্ষোভে দল ছাড়েন নান্টু পাল। প্রচারে নেমে তৃণমূলনেত্রীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নান্টু পাল। দুহাজার একুশের আগে, দুহাজার ষোলর বিধানসভা ভোটেও ২৯৪ আসনে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘২৯৪ আসনেই আমি প্রার্থী। এটা ভেবে ভোট দিন।’’
শিলিগুড়ির তৃণমূল ত্যাগী নির্দল প্রার্থী নান্টু পাল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দিয়ে ভোট হয় না। তাহলে বাইচুংয়ের মতো আইকনকে শিলিগুড়িতে হারতে হোত না। বাইচুংয়ের হারের দায় আমার ওপর চাপানো হয়েছিল ৷’’
তৃণমূলত্যাগী নেতার বিদ্রোহে শিলিগুড়িতে এখন চতুর্মুখী লড়াই। শাসকদল বিজেপি এবং সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের টক্কর দিতে তৈরি নির্দল প্রার্থী নান্টু পাল ৷ রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে নান্টু পাল ছিলেন সিপিএমে ৷ বাম জমানাতেই সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি ৷ ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবাদলের পর তৃণমূলে যোগ দেন নান্টু পাল ৷ শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদে ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন ৷ শিলিগুড়ি বিধানসভার তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি ৷
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘বারবার দল বদলানো নেতা. সে কি বলল না বলল, তার প্রতিক্রিয়া দিতে রুচিতে বাঁধে। আমরা পাপস্খালন করছি। ও দলে ছিল আমাদের। ’’ কিন্তু প্রশ্ন হল, এত কিছুর পরেও নান্টু পালকে দল কেন বহিষ্কার করেনি ? গৌতম দেব বলেন, এব্যাপারে দলই সিদ্ধান্ত নেবে ৷ ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় শিলিগুড়ি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ।