কলকাতা: রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার তুঙ্গে উঠেছে। আর কয়েকদিন পরেই রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। আটটি দফায় এবার ভোট হবে। ভোটের ফলাফল ২ মে। তার আগেই দাবি-পাল্টা দাবি, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সরগরম রাজ্যের রাজনৈতিক ময়দান। বিধানসভা ভোটে কোন দল ক’টি আসন পেতে পারে? এই প্রশ্ন নিয়ে তুমুল জল্পনা রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এবার সরকার গঠন কে করবে, তা জানতে আগ্রহের শেষ নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সামনে এল সিএনএক্সের তৃতীয় দফার সমীক্ষার ফল।
কয়েক মাস আগেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দু-দুটি সংস্থার সমীক্ষা সামনে রাখার কথা দিয়েছিল এবিপি আনন্দ। আজ সিএনএক্সের তৃতীয় তথা শেষ দফার সমীক্ষা। আবারও বলে রাখা ভালো, এই সমীক্ষা দেখে কোনও উচ্ছ্বাস-হতাশা অর্থহীন, কারণ ভোটের হাওয়া যে কোনও সময়, যে কোনও দিকে বইতে পারে। এই সমীক্ষায় আমাদের জার্নালিস্টিক জাজমেন্ট বা এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও জায়গা নেই। সিএনএক্সের তৃতীয় দফার এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে বারো থেকে একুশে মার্চ পর্যন্ত। ফোনে নয়, একেবারে ভোটারদের মুখোমুখি হয়ে, তাঁদের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়েছে। মার্জিন অফ এরর প্লাস-মাইনাস টু পয়েন্ট ফাইভ পার্সেন্ট।
সিএনএক্সের সমীক্ষায় প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, বিধানসভা ভোটে কে জিতবে বলে মনে করেন?
এর উত্তরে ৪২ শতাংশ মনে করছেন তৃণমূল।
৪৪ শতাংশ বলেছেন বিজেপি।
৭ শতাংশ বলছেন, বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট
বলতে পারব না – বলেছেন সাত শতাংশ।
সমীক্ষায় প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, বিধানসভা ভোটে কোন দল ক’টি আসন পেতে পারে? (মোট আসন - ২৯৪/সরকার গড়তে চাই - ১৪৮)
সিএনএক্সের সমীক্ষার ফল অনুযায়ী ইঙ্গিত- তৃণমূল পেতে পারে ১৩৬-১৪৬ আসন।
বিজেপি পেতে পারে ১৩০-১৪০ আসন।
বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ পেতে পারে ১৪-১৮ আসন।
অন্যান্য পেতে পারে ১-৩ আসন।
সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিধানসভা ভোটে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে?
সিএনএক্সের সমীক্ষার ফলাফলে ইঙ্গিত, তৃণমূল পেতে পারে ৪০ শতাংশ ভোট।
বিজেপি পেতে পারে ৩৮ শতাংশ ভোট।
বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ পেতে পারে ১৬ শতাংশ ও অন্যান্য ৬ শতাংশ ভোট।