কলকাতা:   হুগলির চুঁচুড়ার জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন,  এক পায়ে বাংলা জয় করবে তৃণমূল। আগামীতে দু’পায়ে জিতব দিল্লি। বললেন, ভোটের আগে আমার পায়ে চোট করে দিল ইচ্ছে করে।  যাতে আমি বেরোতে না পারি। আমি বললাম, আমার একটা পা ভাঙা তো কী হয়েছে, মা-বোনেদের দুটো পা রয়েছে। একটা পায়েই দেখুন বাংলা জয় করব। দুটো পায়ে তো দিল্লি জয় আগামীদিনে করতে হবে। 


 


উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে মনোনয়ন জমা দিয়ে ফিরে আসার পথে বিরুলিয়া বাজারে আহত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। এরপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে হুইল চেয়ারে চড়েই রাজ্যজুড়ে প্রচার চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


 


বিজেপি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অস্বীকার করে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে। এরইমধ্যে  চোট লাগা বাঁ পা নাড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল-কে নিশানা করেন বিজেপি নেতা প্রণয় রায়। বিষয়টিকে নোংরা রাজনীতি বলে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল।


 


নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায়, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট লাগার ঘটনায় রাজনীতি অব্যাহত। কীভাবে চোট?  ষড়যন্ত্র না দুর্ঘটনা? এসব নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা চলছিলই। সংঘাতের আঁচ আরও গনগনে করে তুলল সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও। বিজেপি নেতা প্রণয় রায় এই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। 



ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, ঘরের মধ্যে হুইল চেয়ারে বসে আছেন তৃণমূল নেত্রী। চোট লাগা বাঁ পা নাড়াচ্ছেন। কখনও চোট লাগা বাঁ পায়ের ওপর ডান পা তুলে রাখতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। বিজেপি নেতা প্রণয় রায় কটাক্ষ করে লেখেন, আগেই বলেছিলাম নন্দীগ্রামে ভোট হয়ে গেলেই পা ঠিক হয়ে যাবে!


 


ভাইরাল এই ভিডিও কখন, কোথায় তোলা, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে গোটা বিষয়টিকে কদর্য রাজনীতি বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল।


 


নেত্রীর পায়ে চোট নিয়ে শুরু থেকেই বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভোটের সময় তুই আমার পা জখম করিয়েছিস। আমি চেপে গেছি ভদ্রতা করে। তোমার নির্দেশ ছাড়া এসব হতে পারে না।





পাল্টা বিজেপির দাবি ছিল, সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মাননীয়া বলছে আগে সিপিএম মারত, এখন বিজেপি মারছে মিথ্যা কথা বলছে। 





সংঘাতের আবহেই চোট লাগা পা নাড়ানোর ভিডিও ভাইরাল হতেই ফের রে রে করে উঠেছেন বিজেপি নেতারা। গুরুতর চোট লাগলে, এভাবে পা নাড়ানো যায় কি? প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। যদিও, চিকিৎসক মহলের একাংশ, পা নাড়ানোয় অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না!


 


এরইমধ্যে জনসভায়  নরেন্দ্র মোদির দিদি ডাকের টোন নিয়ে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।


 


 


এদিন মমতা বলেছেন, সায়ন্তিকার সঙ্গে একমত, রোজ আমাকে ভ্যাঙায়, যত ভ্যাঙাবে জিভ ক্ষয়ে যাবে, ভ্যাঙাতে দিন, গালাগালি দিতে দিন আমি জানি আমি কী, ওদের কথায় কেন মাইন্ড করব!