অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা:  ক্ষমতায় এলে একশো ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বামফ্রন্টের ইস্তেহারে। সিঙ্গুরের কথা নয়, উল্টে জমি অধিগ্রহণে দেওয়া হল সতর্কবার্তা। পাশাপাশি তৃণমূল ও বিজেপি বিরুদ্ধে আঁতাতের অভিযোগে সরব হয়েছে বামফ্রন্ট।


তৃণমূলের ইস্তেহারে এক কোটি ষাট লক্ষ পরিবারকে ন্যূনতম রোজগারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এবার বামফ্রন্টের ইস্তেহারে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল।


বামেদের ইস্তেহারে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা।২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিলে ভর্তুকি পাবেন সমস্ত গ্রাহক।বামেদের ইস্তেহারে আরও বলা হয়েছে, তারা ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ২১ হাজার টাকা।১০০ দিনের বদলে ১৫০ দিনের কাজ ও মজুরির পরিমাণ বাড়ানো হবে।


শিল্পে গুরুত্ব দেওয়া হলেও সিঙ্গুর নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করা হয়নি বামেদের ইস্তেহারে। বরং জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বলা হয়েছে,শিল্পের জন্য সহমতের ভিত্তিতে জমি অধিগ্রহণ করা হবে।


ইস্তেহারে জমি অধিগ্রহণের কথা উল্লেখ নেই, উল্টে সতর্কতার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।


 সিএএ, এনআরসি চালুর বিরোধিতা করে ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এক বছরের মধ্যে সরকারি ও আধা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগের।বেআইনি চিটফান্ডে গচ্ছিত টাকা ফেরত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।


তৃণমূল ও বিজেপি  আঁতাতের  অভিযোগ করে বিমান বসু বলেছেন,  ওদের মধ্যে আঁতাত রয়েছে, তাই সিবিআই-ইডির প্রকৃত তদন্ত হয় না। তৃণমূলের প্রছন্ন মদতে বিজেপির সমস্যা হয় না। যে কোনও সময় আবার হাত মেলাতে পারে। দু দল সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয়।


গতবছর দিল্লিতে বিধানসভা ভোটে জিতে আসার পর ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুত বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গতবছরের বাজেটে এরাজ্যের অর্থমন্ত্রীও ‘হাসির আলো’ নামে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেন। যেখানে অত্যন্ত গরিব পরিবারকে নিখরচায় তিন মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হয়। এবার বিধানসভা ভোটের আগে, বামেদের ইস্তেহারে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভোটে কতটা প্রভাব ফেলবে? সেই উত্তর দেবে সময়।