কলকাতা: করোনা আবহে দ্বিতীয় আইপিএল আয়োজন করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। টুর্নামেন্টের আগে বা আইপিএল চলাকালীন কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না, প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি দলকে পাঠিয়ে দেওয়া হল সেই নির্দেশাবলী।


কেমন সেই নির্দেশাবলী (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপি)?


বোর্ড সূত্রে খবর, আইপিএলের কোনও দলের ক্রিকেটারকেই করোনার টিকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি টুর্নামেন্ট চলাকালীন কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁকে অন্তত ১০ দিনের নিভৃতবাস পর্বের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তারপর করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে তবেই সেই  ক্রিকেটার দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন। গতবার যেমন টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই চেন্নাই সুপার কিংসের কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবারও সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে কীভাবে তা সামলানো হবে, আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখছে বোর্ড।


ভারতকে সিরিজ জিতিয়ে 'বিরাট' বার্তা কোহলির


টুর্নামেন্টে কয়েকজন বাবল ইন্টিগ্রিটি অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। যাঁদের কাজ হবে ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, টিভি ক্রুরা সকলে জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম মেনে চলছেন কি না, সেটা দেখাই হবে তাঁদের কাজ। টুর্নামেন্টে যোগ দেওয়ার আগে প্রত্যেককে টিমহোটেলে এক সপ্তাহের নিভৃতবাস পর্বে কাটাতে হবে। তারপরই তাঁরা জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। নিভৃতবাস পর্বের দ্বিতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম দিনে তিনবার করোনা পরীক্ষা হবে। প্রত্যেকটা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে তবেই তাঁদের জৈব সুরক্ষা বলয়ে যোগ দিতে দেওয়া হবে। কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রত্যেকের দুবার করোনা পরীক্ষা করা হবে। তার পরের সপ্তাহ থেকে একবার করে করোনা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে সকলকে।


ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ যাঁরা খেলছেন, তাঁদের অবশ্য এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। তাঁরা ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ান ডে সিরিজ শেষ হলে সরাসরি যোগ দিতে পারবেন আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে। তবে চার্টার্ড ফ্লাইট বা টিম বাসে করে তাঁদের যেতে হবে। অর্থাৎ, বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা সরাসরি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে যোগ দিতে পারবেন।