সমিত সেনগুপ্ত, পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোটের দিনই বিক্ষোভের মুখে শালবনির সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ। বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়া নিয়ে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরে বুথের সামনে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, তা মানতে নারাজ শাসক দল। শালবনিতে এদিন এবিপি আনন্দর গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
এক দশক পর তিনি ভোটের ময়দানে। আর শুরুতেই তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সুশান্ত ঘোষ। বুথের সামনে শালবনির সিপিএম প্রার্থীকে ধাক্কা দেওয়া হল। ভাঙচুর করা হল তাঁর গাড়ি। হামলার হাত থেকে রেহাই পেল না এবিপি আনন্দও। ভাঙচুর করা হল আমাদের গাড়িও। ইট মেরে ভাঙা হয় আমাদের গাড়ির কাচও।
শনিবার ভোটগ্রহণ শুরুর পরই সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ অভিযোগ করেন, শালবনি বিধানসভার গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের ২০টি বুথে সংযুক্ত মোর্চার এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এজেন্ট বসানো নিয়ে শুইমাদহ প্রাথমিক স্কুলে তৃণমূল এজেন্টদের সঙ্গে তাঁর বচসাও বাধে। কেউদি জামবনি গ্রামে সুশান্ত ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। এরপর ভেলাইদা গ্রামে বুথ থেকে বেরোনোর পর সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।
সিপিএম প্রার্থীকে জুতো দেখানো হয়। পরে বাম প্রার্থীকে নিয়ে এলাকা ছাড়েন তাঁর দুই নিরাপত্তা রক্ষী। ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর বুথের সামনেই সংবাদ মাধ্যমের উপর চড়াও হন তৃণমূল কর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় এবিপি আনন্দর গাড়ি। আক্রান্ত হন এবিপি আনন্দর সাংবাদিক সমিত সেনগুপ্ত ও স্বপন মজুমদার।
২০১১ সালে পরিবর্তনের প্রবল হাওয়ার মধ্যেও পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থেকে জিতেছিলেন ৬ বারের সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। ক্ষমতা হাতবদল হতেই বেনাচাপড়া কঙ্কালকান্ডে গ্রেফতার হন তিনি। ২০১২ সালে জামিন মেলে, কিন্তু জেলায় ঢোকার ছাড়পত্র দেয়নি আদালত। গত বছরের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফেরেন সুশান্ত ঘোষ।
একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতাই এবার শালবনি কেন্দ্রে সিপিএম তথা সংযুক্ত মোর্চার বাজি। তবে শুরুতেই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হল তাঁকে। সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।