পুণে: গতকাল ভারত-ইংল্যান্ডের একদিনের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ চলাকালীন বেটিংয়ের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হল ৩৩ জন বুকিকে। মহারাষ্ট্রের পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় অঞ্চলের পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া বুকিরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বুকিদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিল। তারা প্রতিটি বলে কী হচ্ছে, সেই তথ্য সারা দেশের বুকিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছিল।


এ বিষয়ে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ প্রকাশ জানিয়েছেন, ‘ভারতে ক্রিকেট বেটিং বেআইনি হলেও, বুকিরা নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল গোপন সূত্রে বেটিংয়ের খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। ওয়াকাড় থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর বিবেক মুগলিকরের নেতৃত্বে তিনটি দল গঠন করা হয়। একটি হোটেল, একটি বহুতল সহ তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেই অভিযানেই বেটিংয়ের চক্র ফাঁস হয়।’


পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ১১ জন মহারাষ্ট্রের। এছাড়া হরিয়ানার ১৩ জন, মধ্যপ্রদেশের চারজন, রাজস্থানের তিনজন, উত্তরপ্রদেশের একজন এবং গোয়ার একজন। অন্য এক অভিযুক্ত আবার পর্তুগালের। পুলিশের অভিযানে ৭৪টি মোবাইল ফোন, তিনটি ল্যাপটপ, একটি গাড়ি, ভারতীয় মুদ্রা, মার্কিন ডলার, পাউন্ড, দিরহাম সহ বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে চারটি বাইনোকুলারও পেয়েছে পুলিশ।


তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, কয়েকজন বুকি বাইনোকুলারের সাহায্যে খেলা দেখছিল। মাঠে খেলা হওয়া এবং টিভিতে দেখানোর মধ্যে ৬ সেকেন্ডের ব্যবধান থাকে। তারই সুযোগ নিয়ে বুকিরা নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। 


এর আগে অনেকবার ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন বেটিংয়ের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল চলাকালীন দেশের বিভিন্ন জায়গা বেটিংযের সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। মুম্বই ও ওড়িশার হয়ে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন মরিসকেও বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে গ্রেফতার করে ভারসোভা থানার পুলিশ। ফের বেটিংয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে চলে এল।