কলকাতা: বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রার্থী হতে আপত্তি শিখা মিত্রের। ‘আপত্তি সত্ত্বেও কথা না বলেই বিজেপির তালিকা প্রকাশ’, চৌরঙ্গীতে প্রার্থী ঘোষণার পরেই বিস্ফোরক সোমেন-পত্নী। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্র বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম থাকার পর তিনি জানিয়ে দিলেন, বিজেপির হয়ে তিনি লড়বেন না। চৌরঙ্গি আসন থেকে তাঁকে প্রার্থী করার ঘোষণা করেছে বিজেপি।  


এই তালিকা প্রকাশের পরই বিজেপির প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে আপত্তির কথা জানালেন শিখা মিত্র।শিখা মিত্রর ছেলে রোহন বলেছেন, বাবাকে ছোট করে কিছু করব না। তিনি মৃত্যুকালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। বাবাকে ছোট করে কিছু করব না। আমাদের পরিবার সোমেন মিত্রর পরিবার।


বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই  শিখা মিত্র আগেই জানিয়েছেন, আমি ভোটে দাঁড়াব না।


উল্লেখ্য, বাম জমানা বদলের আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সোমেন মিত্র। ডায়মন্ডহারবার থেকে তৃণমূলের সাংসদও হয়েছিলেন তিনি। ২০১১-র নির্বাচনে চৌরঙ্গী থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন শিখা মিত্র। ওই আসন থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি।  পরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতে থাকেন তিনি। দল থেকে সাসপেন্ড হন। সোমেন মিত্রও কংগ্রেসে ফিরে আসেন। এরপর আর শিখা মিত্রকে সক্রিয় রাজনীতিতে খুব একটা দেখা যায়নি।


শিখা মিত্র ও তাঁর ছেলে রোহন বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন, এমন জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। কিন্তু সেই জল্পনায় বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর জল ঢেলেছেন শিখা ও রোহন দুজনেই। শিখা বলেছেন, তিনি ভোটে দাঁড়াবেন না।


শিখা মিত্রর এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা হবে। 


অন্যদিকে, কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় তৃণমূল বিধায়ক মালা সাহার স্বামী তরুণ সাহাকে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণার পরেই বিতর্ক। তরুণ সাহা বলেছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি।


তরুণ সাহা বলেছেন, তিনি তৃণমূলেই ছিলেন, তৃণমূলেই রয়েছেন।  


উল্লেখ্য,  কাশীপুর-বেলগাছিয়া আসনে এবার অতীন ঘোষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।