রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রতিদিনের মতোই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু আর ফেরা হল না। ডিউটিতে যাওয়ার জন্য ভোরবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন বিকাশ নস্কর (৫২)। আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হল ওই কনস্টেবলের মৃতদেহ।

Continues below advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা ওই পুলিশ কর্মীর। আর তাঁর মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। সোনারপুর থানা এলাকার চম্পাহাটির এই বাসিন্দা তিনি। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত ছিলেন বিকাশ। একটি ব্যাঙ্কের শাখায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

কীভাবে মৃত্যু? মৃতের পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন বিকাশ নস্কর। এরপর বাড়ির কাছেই একটি বাগান থেকে উদ্ধার হয় ওই কনস্টেবলের মৃতদেহ। মৃত কনস্টেবলের স্ত্রী কৃষ্ণা নস্কর জানান, ‘‘ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, আমি এগিয়ে দিতে গিয়েছিলাম, তখন বলল ফিরে যেতে, তারপরই শুনি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আমার স্বামীকে কেউ মেরে দিয়েছে।’’

Continues below advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, একটি খেজুর গাছের নীচে বসে থাকা অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার হয়। গাছের ডালের সঙ্গে একটি দড়ি দিয়ে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। মৃতের পোশাকও ছেড়া ছিল। পরিবারের দাবি, যেখানে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তার থেকে কিছুটা দূরে মিলেছে পুলিশকর্মীর একটি জুতো। তাঁর দুটি মোবাইল ফোনেরও খোঁজ মেলেনি বলে অভিযোগ। এসব দেখেই খুনের অভিযোগ তুলছে মৃতের পরিবার। মৃত কনস্টেবলের দাদা শরৎ নস্কর জানান, ‘‘খুনের অভিযোগ করছি কারণ, মৃতদেহর সামনে ছিল একটি জুতো, অন্যটা দূরে ছিল। সঙ্গে মোবাইলও ছিল না, জামা ছেড়া, ফোনের সুইচড অফ রয়েছে। এই সব দেখে মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে।’’

পুলিশের বক্তব্য, গলায় ফাঁস দিয়ে কেউ আত্মঘাতী হলে গলার সামনে দাগ থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে মৃত কনস্টেবলের গলার চারপাশেই ফাঁসের দাগ ছিল। ফলে প্রাথমিক তদন্তে খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশও।