WB Election 2021 Live Updates: ‘কুণাল মিথ্যা কথা বলছেন, আমাকেও ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল, চিটফান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নেই’, অভিযোগের জবাবে শোভন

West Bengal Election 2021 LIVE Updates: জাতীয় যুব দিবসে আজ কলকাতায় বিজেপি ও তৃণমূলের মিছিল।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 12 Jan 2021 06:33 PM
গোলপার্কের রোড শোয়ের পরে ফের বিজেপির পার্টি অফিসে শোভন-বৈশাখীর ঘরে বসল নেমপ্লেট। আলিপুরের মিছিলে না যাওয়ায় খুলে ফেলা হয়েছিল বিজেপির পার্টি অফিসে শোভন-বৈশাখীর ঘরের নেমপ্লেট।
শোভন বলেছেন, ‘রাজীব কুমারকে আড়াল করেছেন মমতা। সৌগত রায় কত বড় জ্ঞানদাতা ? আমি কখনও মমতার ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি।
মমতার ছবি বিক্রি হতে সুদীপ্ত সেন, রোজভ্যালিকে ডেকে আনিনি। কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক ডাকলেন, আমাকে কেন ডাকেননি ?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করার জন্য মমতার নির্দেশ মেনেছি।
যতক্ষণ দলে ছিলাম, দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছি।
কেন এখন যুব তৃণমূল নেতার খোঁজ চলছে ?
ফিরহাদ হাকিম টিকিট পেতে প্রণবদার বাড়ি যাননি ?
টিকিট পেতে মমতার পায়ে ধরেছিলেন ফিরহাদ হাকিম।’
শোভন বলেছেন, ‘রত্না বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। কিছুজনের হাতের খেলনা হচ্ছেন রত্না’
কুণালের অভিযোগ সম্পর্কে শোভন বলেছেন, ‘সুদীপ্ত সেনের প্রোমোশনের অ্যাম্বুল্যান্স কোথা থেকে এনেছিল কুণাল ? অ্যাম্বুল্যান্সের বরাত দেখাশোনা করত ফিরহাদ হাকিম। কুণাল অর্ধসত্য কথা বলছেন।
কাগজের জন্য বিজ্ঞাপন চেয়েছিলেন কুণাল, সম্মত হয়নি।
কুণাল ঘোষ মিথ্যার মুখোশ পরে মমতাকে বিপথে চালিত করেছে।
সিবিআই কি করবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’
শোভন বলেছেন, ‘রাজনৈতিক মঞ্চে এসে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করতে পারতেন। রত্না অনেক গল্প ফাঁদেন। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন। দুলাল দাস যে বাড়িতে থাকেন, সেই বাড়িটা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। রত্না, তাঁর বাবা, তাঁর ভাই আমার সম্পত্তি ভোগ করছেন।’
রত্না চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শোভন বলেছেন, ‘আমি নীতিগত কারণে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলাম।
রত্না একজন মনোরোগী। বৈশাখীর জন্য পদত্যাগ করিনি। আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য বৈশাখীকে আক্রমণ ঠিক নয়। বিধানসভা, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা ঠিক হয়নি। রত্নার মস্তিস্কবিকৃতি ঘটেছে।’
বৈশাখী আরও বলেছেন, ‘যখন জেলে ছিলেন তখন মমতা, মদনের নাম নিয়েছিলেন কুণাল।
তখন মুখে শোভনের নাম নেননি, এখন কেন শোভনের নাম ? যে সবসময় সঙ্গে থাকে, সেই আসল বন্ধু।’
কুণালের অভিযোগের জবাবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘শিক্ষিকা হওয়ার মর্যাদা তৃণমূল কেড়ে নিয়েছিল। আমি কখনও শোভনকে দেখিনি ঘুষ নিতে। কুণাল ঘোষ দেখে থাকলে কেন প্রতিবাদ করেননি ?
নারদাকাণ্ডে বাকিদের কেন নাম নিচ্ছেন না ?’
কুণালের অভিযোগ খারিজ শোভনের। বললেন, ‘চিটফান্ডকাণ্ডে যাঁরা জেলে আছেন, তাঁদের সঙ্গে কেন কুণাল নেই ? কুণাল মিথ্যা কথা বলছেন, চিটফান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আইকোরের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।
উত্তম মঞ্চ একসময় বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। আইকোরকে বলেছিলাম উত্তম মঞ্চ ভেঙে বহুতল করা যাবে না।
নিয়ম মেনে পুরসভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উত্তম মঞ্চ তৈরির পর উদ্বোধনে মমতাও যান।
কুণাল নেতৃত্বকে ফাঁসিয়েছে, আমাকেও ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে কথা বলানোর চেষ্টা করেছিল কুণাল। অ্যাম্বুল্যান্স, মোটরবাইক কী কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল ?’
বেনাচিতির সভায় শুভেন্দু বলেছেন, ‘২০০-র বেশি আসন পাবে বিজেপি।
তৃণমূল এখন প্রাইভেট কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। বিজেপির হাতে বাংলাকে তুলে দিতে হবে।
বাংলায় বেকারত্ব বাড়ছে, কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত কৃষকরা। বিজেপি ক্ষমতায় এলে পঞ্চায়েতের নির্বাচন হবে। দুর্গাপুর কর্পোরেশনের নির্বাচনে বাইরে থেকে লোক এনেছিল তৃণমূল। বিজেপি ক্ষমতায় এলে নিজে গিয়ে বুথে ভোট দিতে পারবেন। বাংলায় শিল্পায়ন ধ্বংস হয়ে গেছে। দুর্গাপুরে অবৈধ কয়লাখনির রমরমা, নদীপথ পরিবর্তন করা হয়েছে।
তোলাবাজ ভাইপো হঠাও, লালা কে ?
গরু পাচারকারী এনামূল না তৃণমূল।
তোলাবাজ ভাইপো, কাছাকাছি এসে গেছি।’
দিলীপ বলেছেন, ‘লকডাউনে বিনামূল্যে রেশন কি ধর্ম দেখে দেওয়া হয়েছে? বিজেপির ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের ভয় দেখিয়েছে তৃণমূল। এখন এটা বাংলার সংখ্যালঘুরাও বুঝতে পারছেন। ওয়েসি, আব্বাসরা দল তৈরি করতে চাইলে আপত্তি কী? সংখ্যালঘুদের জন্য কাজ করলে, এত ভয় কেন?
বিজেপি কাউকে তোষণ করবে না, নিজে বুঝে ভোট দিন।’
দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভা। বাইকে করে সভাস্থলে পৌঁছলেন শুভেন্দু অধিকারী ও বাবুল সুপ্রিয়।
আইকোরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা শোভনের। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। ওঁকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘বাংলায় বিভাজনের রাজনীতির শেষ করতে হবে।
বাংলায় বিড়লা-গোয়েঙ্কারা বহিরাগত? সংখ্যালঘুদের জন্য কিছুই করেনি তৃণমূল।সংখ্যালঘুরাও এখন বুঝতে পারছেন, প্রতারিত হয়েছেন। বিজেপি যে রাজ্যের শাসনে, সেখানে হিংসা হয়?’
আজ যুব তৃণমূলের তরফে যুব দিবস উপলক্ষ্যে মিছিল। দক্ষিণে গোলপার্ক থেকে শুরু হয়ে গড়িয়াহাট, ট্র্যাঙ্গুলার পার্ক, রাসবিহারী হয়ে মিছিল শেষ হয় হাজরা মোড়ে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতেও যান তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউন্সিলর না করলে কোথায় থাকতেন শোভন? উনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন, স্রেফ বৈশাখীর সঙ্গে থাকবেন বলে। এর পিছনে কোনও আত্মত্যাগ নেই। বিস্ফোরক শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এবিপি আনন্দর প্রতিনিধি ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, গতকাল বিজেপির মিছিলে যোগ দিয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রী থাকাকালে তাঁকে অপদস্থ করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছিলেন শোভন।

নাম না করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে একহাত নিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেছেন, যে বলে বাংলার উন্নয়নে বাঙালির অবদান নেই, তাকে কেউ ক্ষমা করবে? এখন কেন্দ্র ঠিক করে দিচ্ছে কে কোন পথে হাঁটবে, কে কি খাবে! মুখে বলে স্বামীজির কথা, কর্মে ঠিক অন্য। মুখে বলবে জয় শ্রীরাম, কর্মে নাথুরাম।’
অভিষেক আরও বলেছেন, ‘ওঁরা বলছেন নাগরিকত্ব বিল করা হবে, ৩-৪টা লোককে নাগরিকত্ব দেব। আপনাদের অধিকার নেই স্বামীজির ছবি নিয়ে কথা বলার।
স্বামীজি কী বলেছিলেন ৩-৪টা লোক নাগরিকত্ব পাবেন? স্বামীজি যা বলেছিলেন, তা আমাদের পালন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্বেষের পরিবেশ তৈরি করছে। ট্রাম্পকে নিয়ে এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিবেকানন্দর নামই বলতে পারেননি ট্রাম্প, পাশে বসে হাততালি দিচ্ছিলেন মোদি।
বিজেপির কোনও নেতা এর কোনও প্রতিবাদ করেননি। বাংলায় বিজেপির নেতারা মোদির জয়জয়কার করছেন। ট্রাম্পের বিসর্জন হয়ে গেছে, কয়েকটা আগাছা পড়ে আছে।’
অভিষেক বললেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলের চ্যালেঞ্জ ছিল।পরশু রাতে মিছিলের জন্য দলের নির্দেশ আসে।
ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করতে দেবে না বাংলা। গুজরাতে ৩ হাজার কোটি খরচ করে বল্লভভাই পটেলের মূর্তি।
বাংলায় কেন ৩ হাজার কোটি খরচ করে স্বামীজি, নেতাজির মূর্তি হবে না?’
মিছিল শেষে বক্তব্য রাখছেন অভিষেক।
যুব দিবস উপলক্ষ্যে মিছিলে যুব তৃণমূল




স্বামীজির জন্মদিবস উপলক্ষ্যে মিছিল বার করল যুব তৃণমূল। গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত হচ্ছে মিছিল। নেতৃত্বে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
যুব দিবস উপলক্ষ্যে মিছিলে যুব তৃণমূল




স্বামীজির জন্মদিবস উপলক্ষ্যে মিছিল বার করল যুব তৃণমূল। গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত হচ্ছে মিছিল। নেতৃত্বে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিশিরের পর এবার সরানো হল অধিকারী ঘনিষ্ঠ দুই পুর প্রশাসককে




শিশির অধিকারীর পর এবার অপসারণ করা হল এগরা ও তমলুক পুরসভার দুই প্রশাসককে। এগরা পুরসভার অপসারিত প্রশাসক শঙ্কর বেরা ও তমলুক পুরসভার অপসারিত প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এগরা পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হলেন স্বপন নায়েক ও তমলুক পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়।
যুব নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, মালদার গাজোলে ইস্তফা দিলেন ১২ তৃণমূল নেতা




মালদার গাজোলে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ ১২ জন নেতা। তাঁদের অভিযোগ, তোলাবাজির কারবার চালাচ্ছেন গাজোল ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা। তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা না মিটলে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। বিজেপির কটাক্ষ, তোলাবাজ, সিন্ডিকেট মাফিয়ার দলে পরিণত হয়েছে তৃণমূল।
কোচবিহারের মাথাভাঙায় উদ্ধার বোমা, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল




কোচবিহারের মাথাভাঙার নয়ারহাটে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির আগে উদ্ধার হল ৩টি তাজা বোমা। বোমার গায়ে কাগজে লেখা, পার্থপ্রতিম রায় ও মহেন্দ্র বর্মনকে অবহেলা করার জন্য এই কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে, না হলে ছাড়ব না। এদিন সকালে গ্রামবাসীরা মাঠে তিনটি বোমা পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ গিয়ে বোমা উদ্ধার করে। মাথাভাঙা ১-এর এ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মহেন্দ্র বর্মনের দাবি, উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে বিজেপি এই ষড়যন্ত্র করেছে। বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনা।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্যদ থেকে সরানো হল শিশির অধিকারীকে




দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে অপসারিত শিশির অধিকারী, পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান হলেন অখিল গিরি। এর আগে পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন অখিল। আমার কিছু জানা নেই, তাই প্রতিক্রিয়াও নেই, প্রশ্নের উত্তরে মন্তব্য শিশির অধিকারীর।

প্যাটেলের মূর্তি হয়েছে, বিবেকানন্দেরও হোক, কৈলাসকে সুদীপের কটাক্ষ




স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস ঘিরেও রাজনীতি। এদিন স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনে সৌজন্য বিনিময় করেন। এরপরই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, এইবারই শেষ, আর তো থাকবেন না। সর্দার প্যাটেলের ৩০০ কোটির মূর্তি হয়েছে। এবার কলকাতাতেও একটা মূর্তি হোক।
মঙ্গলবার সকালের খবর


শোভনের রুটে আজ অভিষেকের পাল্টা মিছিল, কলকাতায় শুভেন্দুরও রোড শো




শোভনের রুটে আজ পাল্টা মিছিল করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করবেন তিনি। জেলার পরে আজ কলকাতায় রোড শো করবেন শুভেন্দু অধিকারীও। শ্যামবাজার থেকে সিমলা স্ট্রিট র‍্যালি করবেন তিনি।
শোভন বলেছেন, ‘বিশ্বাস করুন, সামনের দিনে আরও প্রকাশ্যে আসবে।যারা তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জীবন দিয়েছিলেন,বেইমান বলার আগে ভাববেন, তাদের জন্যেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
বলা হচ্ছে সিবিআই, ইডি নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে, আটকাতে পারছেন না কেন?
কেন কয়লা চুরি, গরু পাচারে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে?‘আপনি বলবেন, সব মিথ্যে কথা।
বলছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করতে হবে।
ঘাসফুল পতাকা লাগিয়ে বলছ, লাইসেন্স কেড়ে নেব।
কিষাণ নিধি প্রকল্পের টাকা পেতে কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলা?
মিছিল দেখে বুঝতে পেরেছি, বাংলায় আর তৃণমূল থাকবে না।‘সোনার বাংলার কথা আর বলবেন না, নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখতাম, কিন্তু যাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী, তাদেরই তুচ্ছ করলেন আপনি।
আপনি সোনার বাংলা করেননি, সর্বনাশ করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসে আজ কারা মুখপাত্র? আমি জানি আমার উপরে আঘাত নেমে আসতে পারে।
সেই আঘাতকেও মেনে নেব, কেননা জানি তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে ১৪ মাস বসেছিলাম না। পরিবেশ তৈরি হওয়ার স্বার্থে সভা-সমিতিতে গিয়েছি।
বলে দিতে চাই, পুরসভা শেষ করেছ, বাংলাকে শেষ করছো,
কী করতে যে মিনি পাকিস্তান গড়তে গিয়েছিলেন!
মে মাসের গণনার পরে দেখবেন, দুশোর বেশি আসন বিজেপির।
বিজেপি দুশোর বেশি আসন পাওয়ার পরে শান্তি পাব।
মানুষের স্বার্থে মহীরুহ হলে দলটা শেষ হত না।
সোনার বাংলা তৈরিতে সর্বনাশ করেছে সোনার গোপাল। যুব তৈরি করে দলটাকে শেষ করেছেন।’
শোভন বলেছেন, ‘আপনি বলছেন, আপনার সমর্থন নাকি আমার উপরে ছিল। সোনার বাংলা করার জন্য আপনি প্রতিহিংসামূলক। আমার যন্ত্রণা হয়, পাশে দাঁড়ানোর জন্য বৈশাখীকে সরানো হয়।
বন্ধু তখনই হয়, যে দুঃখের দিনে পাশে থাকে, ছেড়ে যায় না।
ভেবে দেখুন, প্রত্যেক জায়গায় কেন পদত্যাগ করেছিলাম।
২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি প্রকল্প চলছে, বলতে বলেন মমতা।
বিধানসভায় পিছন থেকে বলা হল ওটা ৪০ লক্ষ হবে।
বিধানসভার অভ্যন্তরে আমাকে অস্বস্তিতে ফেলা হয়।’
আউট্রাম ঘাটে ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘দেশকে একজোট রাখতে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
যতদিন বাঁচব মানুষের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।
গঙ্গাসাগর আমরা সুন্দর করে তৈরি করে দিয়েছি।
কুম্ভমেলার সঙ্গে রেলের যোগাযোগ আছে।
গঙ্গাসাগরে যেতে হলে জল পেরিয়ে যেতে হয়।
তাও গঙ্গাসাগরে যেতে ৫০ লক্ষ মানুষ আসেন।
স্বাধীনতার পরেও দেশে গণতন্ত্র নেই।
এখনও দেশে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।
গঙ্গাসাগর নিয়ে আমরা কর মকুব করে দিয়েছি।
কারও কিছু হলে ৫ লক্ষ টাকার বিমা করা হয়েছে।জরুরি পরিস্থিতির জন্য ২টি কপ্টার রাখা হয়েছে।’
মিছিলের পর বিজেপির সভায় বক্তব্য রাখছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভন বলেছেন, ‘বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট করতে দেননি বলেই সোনার বাংলা হয়নি।
বিধানসভা ভোটে আপনার শতরঞ্জির খুঁট ধরে টান মেরেছে।
মমতাদি, আপনার অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে।’
তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করে, অভিযোগ বৈশাখীর
বিজেপির মিছিলে শোভন-বৈশাখী। শোভন বললেন, তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই তা বোঝা যাচ্ছে। আয়নার সামনে দাঁড়াক তৃণমূল। বাংলায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। যখন দলে ছিলাম, তখন তৃণমূল এমন ছিল না।
খণ্ডঘোষে তৃণমূলের সভায় বক্তব্য রাখছেন কুণাল ঘোষ
অবশেষে ৩ বছর পরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পথে নামছেন শোভন। আলিপুরের মিছিলে গরহাজিরার পরে অবশেষে বিজেপির সর্বধর্না মিছিলে শোভন-বৈশাখী। গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর পার্টি অফিস পর্যন্ত রোড শো।
'আপনারাই বলুন, কোন প্রকল্প বেশি ভাল'




কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পে শতকরা ৪০ টাকা দিতে হবে। রাজ্যের প্রকল্পে কোনও টাকা দিতে হয় না, এবার আপনারাই বলুন, কোন প্রকল্প বেশি ভাল। প্রশ্ন মমতার। কোনও নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প না নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত জমির দলিল, আমিই করিয়েছিলাম: মমতা




যে যেখানে যেমন আছেন, সেখানেই তিনি পাট্টা পাবেন। দেড় লক্ষ পরিবারকে পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, আমি চাই পাট্টাহীন একটাও উদ্বাস্তু পরিবার যেন না থাকে।
৫০-৬০ বছর ধরে থাকলে এমনিতেই তো নাগরিক, মতুয়াদের আশ্বাস মমতার




বিজেপি বলে, সব মতুয়াকে নাগরিক করব, ভোটের পর পালিয়ে যায়। ৫০-৬০ বছর ধরে থাকলে এমনিতেই তো নাগরিক। মতুয়াদের বলছি, আপনারা সবাই নাগরিক। অসমে ১৯ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দিয়েছে, আমরা এ সব করি না, এনআরসি-এনপিআর করতে দেব না।
কেশপুরে ভাঙচুর বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি, অভিযুক্ত তৃণমূল




পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে গতকাল গভীর রাতে ১০-১২টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিজেপির অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূলের লোকজন। গতকাল সকালে কেশপুরের আনন্দপুরে বনকাঠি এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
রানাঘাটে আজ জনসভা মমতার





রানাঘাটে আজ জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে রাণাঘাটে মুখ্যমন্ত্রী। রাণাঘাটের হবিবপুরের ছাতিমতলা ময়দানে বেলা ১২টা নাগাদ সভা শুরু হওয়ার কথা।
নাড্ডার সভায় যাওয়ার জন্য কালনার বিজেপি কর্মীকে খুনের হুমকি, ভয়ে গ্রামছাড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল





পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দা এক বিজেপি কর্মীকে জে পি নাড্ডার সভায় যাওয়ার জন্য খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। ভয়ে ওই কর্মী গ্রামছাড়া হয়েছেন। গত ৯ জানুয়ারি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সভায় যোগ দেন কালনার ধাত্রীগ্রামের দক্ষিণপাড়ার বিজেপি কর্মী মনুয়াজ শেখ। তাঁর অভিযোগ, ওই দিন রাতেই তাঁকে হুমকি দিয়ে ফোন করেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। তারপর তাঁকে সালিশি সভায় যেতে বলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীর। এরপরই ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান ওই বিজেপি কর্মী। কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও তৃণমূলের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ করেছেন ওই বিজেপি কর্মী। তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়নি বা সালিশি সভাতেও ডাকা হয়নি।
কামারহাটিতে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে





উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, কামারহাটির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর মাতৃপল্লীতে এক অসুস্থকে দেখতে যাচ্ছিলেন ৩ জন বিজেপি কর্মী। রাস্তায় ঘিরে ধরে কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ করেন ওই বিজেপি কর্মীদের। বেলঘড়িয়া থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। এ নিয়ে এখনও তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
টুইটে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি মমতার





প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ট্যুইট করে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ট্যুইটেই তিনি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে লেখেন, লালবাহাদুর শাস্ত্রী জয় জওয়ান জয় কিষান স্লোগান তুলেছিলেন। কৃষক ভাইবোনদের জন্য আমরা গর্বিত। তাঁরাই দেশের নায়ক। কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
দিল্লি গেলেন দিলীপ ঘোষ





সংসদের প্রিভিলেজ কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে তিনি মুখ খুললেন দিল্লিতে রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষের সাক্ষাত্‍ প্রসঙ্গে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির মতে, ওই সাক্ষাত্‍ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। রাজ্যপাল তাঁর চেনা পরিচিতদের সঙ্গে দেখা করতেই পারেন বলে মন্তব্য করেন দিলীপ।

প্রেক্ষাপট

কলকাতা:ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের টানাপোড়েন অব্যাহত। স্বামীজির জন্মদিবসে সকালে সিমলা স্ট্রিটে গিয়ে স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিংহ প্যাটেল। স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।


পাশাপাশি, জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে আজ দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের নেতৃত্বে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে বিধান সরণি হয়ে স্বামীজীর জন্মস্থান সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল বার করবে বিজেপি। অন্যদিকে, আজই যুব তৃণমূলের তরফে যুব দিবস উপলক্ষ্যে মিছিল। দক্ষিণে গোলপার্ক থেকে শুরু হয়ে গড়িয়াহাট, ট্র্যাঙ্গুলার পার্ক, রাসবিহারী হয়ে মিছিল শেষ হবে হাজরা মোড়। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতেও যাবেন তিনি।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.