নন্দীগ্রাম: পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পালকে ফোন করার কথা মানলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেউ কেউ ফিরতে চান বলে জেনেছিলাম, তাই ফোন করেছিলাম। কিন্তু, সেই কথোপকথন ভাইরাল করাটা অপরাধ। পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পালকে ফোন করা নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার।
নন্দীগ্রামে এবার প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর লড়াই একদা ঘনিষ্ঠ সহকর্মী অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের আগে তমলুকের বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করে তৃণমূল নেত্রী সাহায্য চেয়েছেন বলে অভিযোগ করে বিজেপি। প্রলয়ের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। প্রলয় পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপির সহ সভাপতি। আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোট। এর আগে প্রলয়কে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
আর এই কথোপকথনের কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল নেত্রী। শনিবার এই অডিও ক্লিপ নিয়ে বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকে করে। বিজেপির প্রকাশ করা অডিও ক্লিপ অনুযায়ী ফোনে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ' তুমি ইয়াং ছেলে। অনেক কাজ কর। এবার আমাদের একটু সাহায্য করে দাও। দেখবে কোনও অসুবিধা হবে না'। অডিও ক্লিপে বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা যায়, 'আপনাকে দেখে আমাদের পরিবার রাজনীতি করেছে। আপনার আদর্শ মেনে রাজনীতি করেছি। ২০১১-র ভোটের ফল ঘোষণার পর ব্রাহ্মণ ডেকে যজ্ঞ করে মিটিং মিছিল করেছিলাম। ..তবুও একটা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পাইনি'।
এরপর নিজের ক্ষোভ-অভিমানের কথা জানান বিজেপি নেতা। প্রলয় পাল বলেন, 'দিদি আপনি যাই মনে করুন-এখন দল থেকে বেরিয়ে এসেছি..যখন যে দলের সঙ্গে রয়েছি, সেই দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না। যখন যে দল করি, আমার পরিবার প্রাণ দিয়ে সেই দলটাই করি। ...আমাকে ক্ষমা করুন'। এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।