পশ্চিম বর্ধমান: রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার বহিরাগত তত্ত্ব উগড়ে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুর থেকে ভার্চুয়াল সভা থেকে বললেন, ২ লক্ষ বাইরের ফোর্স পড়ে আছে, বিজেপির বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রী পড়ে আছে, কারও আরটি-পিসিআর হয়নি, তারা যে কোভিড ছড়াচ্ছে না তা কী করা বলা যাবে? এদের জন্য কত সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছে?
ভ্যাকসিন নিয়েও এদিন মোদি সরকারকে তুলোধনা করেন তৃণমূলনেত্রী। বললেন, ৬০ শতাংশ ভ্যাকসিনে পেয়েছেন গুজরাত, বাকিরা অল্প করে পেয়েছে, আমরা বলছি ভ্যাকসিন দেওয়া হোক, রেট বেঁধে দেওয়া হোক। তিনি যোগ করেন, দেশে ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ইঞ্জেকশন হয়ে যায় ১৫০ টাকা যার দাম, পিএম কেয়ার্সে তো লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা উঠেছে, লোকসভা, মূর্তি তৈরি করতে কত খরচা হচ্ছে?
পাশাপাশি, বিদেশে ওষুধ পাঠানো নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন মমতা। বলেন, মানুষের জীবনের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া ১ সেকেন্ডের ব্যাপার, দেবে কোথা থেকে, অন্যান্য দেশে মেডিসিন পাঠিয়ে দিয়েছে। এটা খুব বড় ধরনের গাফিলতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশের পরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মমতার মতে, কেন্দ্রের গাফিলতির জন্য দেশে কোভিডের এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তৃণমূলনেত্রী বলেন, গত ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছিলেন, করোনা চলে গেছে, তার মানে তাদের কাছে আইবি বা এক্সপার্টের রিপোর্ট ছিল না। মমতা বলেন, ‘হু’ অক্সিজেন নিয়ে পরিকল্পনা করতে বলেছিল কেন্দ্রকে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলিকে এটা জানাননি। আজ শুনলাম প্রধানমন্ত্রী মিটিং করছেন, আমি আমন্ত্রিত থাকলে যেতাম।
মমতার আশ্বাস, কোভিড-ঝড় সামাল দেওয়া যাবে। বললেন, আমরা ঝড় সামলে নেব, ইলেকশনের থেকেও কোভিড আমার অগ্রাধিকার। আরও প্রাইভেট হাসপাতালকে কাজে লাগানোর জন্য মনিটারিং করছি, বহরমপুরে গিয়ে ওখানে মনিটারিং করব, পরে বীরভূমে গিয়ে করব, পরশু দিন বহরমপুর থেকে করব, কলকাতার মিনার্ভা হল থেকে ভার্চুয়ালি করব।
মানুষের প্রতি মমতার আবেদন, কোভিড বিধি মেনে চলুন। বললেন, কোভিড যাদের হয়েছে আতঙ্কিত হবেন না, যার বেশি বাড়াবাড়ি সে হাসপাতালে ভর্তি হোন, আগেরবার সামলে দিয়েছি, এবারও সামলে দেব। সংখ্যাটা নিয়ে ভাববেন না, সবার যে সিরিয়াস তা নয়, কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ দেবেন।