পশ্চিম বর্ধমান: দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি ও অক্সিজেন সঙ্কটের জন্য ফের একবার কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


দুর্গাপুর থেকে ভার্চুয়াল সভায় এদিন মোদি সরকারকে তুলোধনা করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, কেন্দ্রের গাফিলতির জন্য দেশে কোভিডের এই পরিস্থিতি, গত ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছিলেন, করোনা চলে গেছে, তার মানে তাদের কাছে আইবি বা এক্সপার্টের রিপোর্ট ছিল না। মমতা বলেন, ‘হু’ অক্সিজেন নিয়ে পরিকল্পনা করতে বলেছিল কেন্দ্রকে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলিকে এটা জানাননি। আজ শুনলাম প্রধানমন্ত্রী মিটিং করছেন, আমি আমন্ত্রিত থাকলে যেতাম। 


অক্সিজেন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বললেন, বাজারে অক্সিজেন, ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় গরিবজদের আমরা বিনামূল্যে চিকিৎসা করাচ্ছি।  যারা অক্সিজেন দিত সেই সেলকে ইউপিতে পাঠাচ্ছে, আমাদের চেনটাকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যাতে বাংলার অক্সিজেনের অভাব হয়, আমাদের শিল্পে যে অক্সিজেন লাগে তা হেলথে শিফট করিয়েছি। পাঁচ হাজার এক্সট্রা সিলিন্ডার ব্যবস্থা করেছি, এখন ২০ হাজার সিলিন্ডার আছে। কেন্দ্রের যা অবস্থা তাতে বাংলাকে ভাতে ও পাতে মারতে চায়। সেলকে বলেছে ইউপিকে দাও, একটা রাজ্যের কেটে অন্য রাজ্যকে দিয়ে দিচ্ছে। গুজরাতে পার্টি অফিস থেকে ইঞ্জেকশন দিচ্ছে আর অন্যান্য জায়গায় দিচ্ছে না। 


একইসঙ্গে নিশানা করেন নির্বাচন কমিশনকেও। বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল তিনটে ভোট একসঙ্গে করে দেওয়া, আপনারা জানেন কমিশন বিজেপির কথা শুনে চলে। মোদি মিটিং ক্যানসেল করলেন, সত্যি মিটিং ছিল কিনা জানি না, তারপরই নির্দেশ দিল কমিশন, বিকেলে নির্দেশ পেলে দুটো মিটিং করতে পারতাম, জনগণের স্বার্থে মেনে নিয়েছে, কমিশনকে বারবার বলেছিলাম ভোটটা ক্লাব করুন, আটটা ফেজের কোনও প্রয়োজন নেই। 


মমতা মনে করিয়ে দিলেন, কোভিডকে কোনওভাবেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না তিনি। যদিও বর্তমান পরিস্থিতির গোটা দায় কেন্দ্রের ঘাড়েই চাপালেন। বললেন, আমি কোভিডকে কোনওরকম অবহেলা করছি না, এটা বড় হয়েছে কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা, ৮ দফায় ভোট করতে গিয়ে আর বিজেপিকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে, বাংলাকে যেমন করে হোক দখল করতে হবে, বাংলা দখলের নাম করে বাংলার সঙ্গে দেশকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক, কোভিডটাকে গুলিয়ে ফেলেছে, গোটাটাই ওদের গাফিলতি।