ঢাকা: বাংলাদেশে জোড়া বিপর্যয়। নৌকাডুবিতে মৃত্যু ২৬ জনের, নিখোঁজ বহু। পাশাপাশি কালবৈশাখীর দাপটে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জনের।


 


গতকাল রবিবার বাংলাদেশের প্রায় ১৩ জেলায় কালবৈশাখীর দাপট দেখা দিয়েছিল। গাইবান্ধা জেলায় তিন মহিলা সহ আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।  ঝোড়ো হাওয়া, সেইসঙ্গে বৃষ্টি গরমে স্বস্তি আনলেও ফুলছড়ি, পলাশবাড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে। গাইবান্ধায় তীব্র ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘটেছে প্রাণহানিও। গাইবাঁধার ডেপুটি কমিশনার আব্দুল মতিন সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।



কালবৈশাখীর দাপট দেখা গিয়েছিল রাজধানী ঢাকাতেও। ঝড়ের ঝাপটায় ইটের আঘাতে জখম হয়েছেন এক রিক্সাচালক ও পাঁচ বছরের একটি মেয়ে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।  কালবৈশাখীর দাপটে একুশের বইমেলা স্থলও লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে।


 


অন্যদিকে, গতকাল একটি পণ্যবাহী জলযানের সঙ্গে ধাক্কার পর একটি ফেরি নদীতে ডুবে যায়। শিতলাক্ষ নদীতেও এই দুর্ঘটনায় ফেরির ছাব্বিশ যাত্রী নিহত হন। ফেরিতে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই নিখোঁজ বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।


 


ঢাকা থেকে ২০ কিমি দূরে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে ফেরিটি ডুবে যায় বলে পুলিশ আধিকারিক কবির হোসেন জানিয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। হোসেন বলেছেন, বেশ কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।


 


করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সোমবার থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন ঘোষণা হয়েছে বাংলাদেশে। এ জন্য এই ফেরিতে ছিল  কর্মস্থল থেকে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড়। সেইসময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে।


 


বাংলাদেশ রবিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ৭,০৮৭। সবমিলিয়ে সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬,৩৭,৩৬৪। মৃত্যু হয়েছে ৯,২৬৬ জনের।


 


বাংলাদেশে যাতায়াতের অন্যতম ভরসা ফেরি পরিষেবা। প্রতি বছরই বাংলাদেশে ফেরি দুর্ঘটনায় কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়।