নন্দীগ্রাম: শেষ বেলার প্রচারে এক পায়েই উঠে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেত্রী। হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এক পায়ের সাহায্যেই জাতীয় সঙ্গীতে অংশ নেন মুখ্যমুন্ত্রী।


হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ নন্দীগ্রামে। আজই ছিল শেষ প্রচার। সেই প্রচার করতে এদিন নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ার সভায় এক পায়ে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতে অংশ নেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী।


এদিকে, রণাঙ্গনের নাম নন্দীগ্রাম। শেষ দিনের প্রচারে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথ জুড়ে রইল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের জয় ‘শ্রীরাম স্লোগান’। রেয়াপাড়া, মহম্মদপুর বাজার, টেঙ্গুয়া মোড়, বলরামপুর। নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর কনভয় যখনই এসব এলাকার ওপর দিয়ে গিয়েছে, কনভয় লক্ষ্য করে উড়ে এসেছে জয় শ্রীরাম স্লোগান। একবার নয়, বারবার। কিন্তু, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোনওরকমের প্রতিক্রিয়া ছাড়াই চলে যান নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী।


মঙ্গলবার সকালে রেয়াপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে কনভয় নিয়ে ভাঙাবেড়ার দিকে রওনা হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড় পুলের কিছুটা আগে তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি দেখে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কয়েকজন জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেন। কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক আবার দলীয় প্ল্যাকার্ড নিয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের দিকে ধেয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কাছে পৌঁছনোর আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের আটকে দেন। এলাকা ছেড়ে চলে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।


টেঙ্গুয়া মোড় থেকে ভেকুটিয়া হয়ে কনভয় যখন এগোচ্ছে, সেই সময় মহম্মদপুর বাজারের কাছে নিজেদের দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি দেখেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। এক্ষেত্রেও বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে চলে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।


এরপর নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ের কাছে ফের উত্তেজনা। শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে মিঠুন চক্রবর্তীর রোডশোয়ের জন্য রাস্তার ধারে তৈরি ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় সেখানে দিয়ে যেতেই, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা নাগাড়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকেন। এই ঘটনার জেরে টেঙ্গুয়া মোড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল কর্মীরা পাল্টা খেলা হবে গান বাজিয়ে মিছিল শুরু করে দেন। গেরুয়া শিবির থেকেও জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।