কলকাতা: গতকালই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আরও তিনটি দফার ভোট। তার আগে   রাজ্যে আজও জমজমাট প্রচার। 


জনসভা ও রোড শো করবেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  অমিত শাহ। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা, নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় রোড শো, উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে সভা, হাবড়ায় রোড শোয়ের পাশাপাশি সেখানে একটি সভাও করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 


তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার রয়েছে নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতায়। তেহট্ট ও কৃষ্ণনগর দক্ষিণে জনসভার পাশাপাশি গাইঘাটা, ব্যারাকপুর ও খড়দায় সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। এছাড়াও আজ ভবানীপুর ও রাসবিহারী কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর সমর্থনে রোড শো করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢাকুরিয়া ব্রিজ থেকে শুরু হয়ে কালীঘাট মোড়ে শেষ হবে এই রোড শো।


আজ উত্তর ২৪ পরগনার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁ উত্তর, নৈহাটি, অশোকনগর ও ভাটপাড়া বিধানসভায় প্রচার করবেন তৃণমূল সাংসদ।


প্রচার কর্মসূচি রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীরও। মালদার মোথাবাড়ি ও হবিবপুরে সভার পাশাপাশি, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে রোড শো করবেন মিঠুন।
উল্লেখ্য, ভোটের প্রচারে তৃণমূল ও বিজেপির বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে। গতকাল আসানসোলে নির্বাচনী প্রচারে প্রচারে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ছাপ্পা ভোট বন্ধ হওয়াতেই রেগে যাচ্ছেন দিদি। আপনি যতখুশি ষড়যন্ত্র করুন। এবার দিদির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করবে বাংলার মানুষ। ভোটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সার্টিফিকেট পাবেন আপনি। সেই সার্টিফিকেট সারাজীবন ঘরে টাঙিয়ে রাখবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উন্নয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনেন মোদি। তিনি বলেন, ''জনগণের উন্নয়নের কথা ভাবেন না দিদি। করোনা নিয়ে কেন্দ্রের একাধিক বৈঠকে আসেননি। দিদির অহংকার এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যে সবাইকে তিনি ছোট দেখেন। করোনা নিয়ে গত দুটো বৈঠকে সব মুখ্যমন্ত্রী এলেও তিনি আসেননি। একই ঘটনা ঘটেছে গঙ্গাসাফাই নিয়ে বৈঠকে। নীতি আয়োগের বৈঠকেও আসার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। এমনকী কেন্দ্রীয় সংস্থা রাজ্যে কিছুর অনুসন্ধান করতে এলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।''
পাল্টা বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে গতকাল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'' গত ৬মাস রাজ্যে কোনও করোনা হয়নি। একটা সময় পেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।সবাইকে ভ্যাক্সিন না দিয়ে মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও বড় ভাইরাস এলে কমপক্ষে দু-বছর থাকে। গত বছর এসেছিল এ বছরও চলছে।এই সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার।''