ঝিলম করঞ্জাই, উত্তর ২৪ পরগনা: দিনভর মিনাখাঁর তেলেনিপাড়ায় দফায় দফায় বোমাবাজি। আর তার জেরে সারাদিন ভয়ে ভোট দিতে গেলেন  না ভোটরারা। ভোট মুখের শেষে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হলেন ভোটাররা। শেষমেশ ভোটগ্রহণের শেষ পর্বে পুলিশি নিরাপত্তায় বুথে গেলেন ভোটাররা।


আজ, শনিবার ছিল পঞ্চম দফার নির্বাচন। উত্তর ২৪ পরগনা (১৬), পূর্ব বর্ধমান (৮), নদিয়া (৮), জলপাইগুড়ি (৭), দার্জিলিং (৫) ও কালিম্পং (১) মোট ৬ জেলার ৪৫টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। ৬ জেলাতেই সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি। কোথাও বোনাবাজির অভিযোগ। কোথাও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। কোথাও আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ। এদিন দিনভর মিনাখাঁর তেলেনিপাড়ায় বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর সেই আতঙ্কে ভোট দিতে যাননি ভোটাররা। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা দেয় পুলিশ। শেষ পর্বে ভোট দিতে বুথে যান ভোটাররা।


এদিকে ফের একবার গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। শীতলকুচির পর এবার দেগঙ্গা। দেগঙ্গার কুড়লগাছার ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিআরপিএফের তরফে অবশ্য দাবি, এলাকায় কোনও গুলি চালানো হয়নি। গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। পরে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন গ্রামবাসীরা।


স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছের ছায়ায় বসে এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন গ্রামবাসী। সেই সময়ই সেখানে গুলি চলে। মাটিতে একটি গর্ত মতো জায়গা দেখিয়ে তাদের অভিযোগ, শূন্যে নয়, মাটিতে গুলি ছুড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন কোচবিহারের শীতকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন চারজন। আহত হয়েছিলেন আরও চারজন। যে ঘটনা নিয়ে এখনও উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝেই ফের পঞ্চম দফার ভোটেও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। যদিও তারা ও পরে কমিশন যে অভিযোগ খারিজ করে দেয়।