আসানসোল: শীতলকুচিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর অডিও টেপ নিয়ে এবার সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। আসানসোলের নির্বাচনী সভায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি করছেন, কত নীচে নামতে পারেন দিদি'।



শনিবার রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচনে আাসানসোলে যান প্রধানমন্ত্রী। সভামঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করেন তিনি। মোদি বলেন, ''কোচবিহারে যা হয়েছে, তা নিয়ে একটা অডিও টেপ বাইরে এসেছে। পাঁচ জনের দুঃখজনক মৃত্যুর পরও এই ঘটনা নিয়ে দিদি রাজনীতি করছেন। ওই অডিও টেপ থেকেই তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই টেপে কোচবিহারের তৃণমূল নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, মৃতদেহগুলি নিয়ে মিছিল করো। দিদি ভোটব্যাঙ্কের জন্য কতটা নীচে নামতে পারেন, এই টেপ তার উদাহরণ। এই টেপ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, মৃতদের নিয়েও নিজের রাজনৈতিক ফায়দা খুঁজে বেড়াচ্ছেন দিদি। তবে এটা নতুন ঘটনা নয়। রাজ্যে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি দিদির পুরোনো অভ্যেস। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই তাদের পিষে দেওয়া হয়েছে।''

এই বলেই থেমে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী। এদিন শীতলকুচিকাণ্ডের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''দুঃখজনক মৃত্যু নিয়েও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন দিদি। রাজনীতির জন্য জওয়ানদেরও রেয়াত করেন না। তাদের বিরুদ্ধেও মন্তব্য করেন। নিজেকে দেশের সংবিধানের থেকেও বড় ভাবেন দিদি।''

এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর  দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগ এনে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''২০১৮ সালের রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মানুষ কখনোই ভুলবে না। বর্ধমান থেকে বাঁকুড়া রাজ্যের সব জায়গায় কীভাবে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, তা সবাই দেখেছে। জোর করে বাংলার ২০ হাজার পঞ্চায়েতে দিদি নিজের তোলাবাজদের বসিয়ে দিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিদির সন্ত্রাসে এক তৃতীয়াংশ প্রার্থীরা মনোনয়ন পর্যন্ত জমা দিতে পারেননি। হামলার ভয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন জমা দিতে হয় প্রার্থীদের। এমনকি, জয়ের পরও মারের ভয়ে ভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নিতে হয় প্রার্থীদের। বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। দেশের শীর্ষ আদালতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বললেও দিদি সেই পথে হাঁটেননি।''

এখানেই থেমে থাকেনি মোদির বাক্যবাণ। ২ মে-র পর রাজ্যের ভবিষ্যত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''ছাপ্পা ভোট বন্ধ হওয়াতেই রেগে যাচ্ছেন দিদি।আপনি যতখুশি ষড়যন্ত্র করুন। এবার দিদির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করবে বাংলার মানুষ। ভোটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সার্টিফিকেট পাবেন আপনি। সেই সার্টিফিকেট সারাজীবন ঘরে টাঙিয়ে রাখবেন।চার দফার মতদান, টিএমসি হল খান খান।''