বীরভূম: ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত নানুর। বিজেপি প্রার্থীর প্রচার সভার আগের রাতে বোমাবাজি। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। আজ নানুরের বিজেপি প্রার্থী তারক সাহার ঘিদহ গ্রামে প্রচারে যাওয়ার কথা। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, প্রচার বানচাল করার জন্য গ্রামে আতঙ্ক তৈরি করতে রাতে দফায় দফায় বোমাবাজি করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, রাতে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায় বিজেপি। মারধরে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটে বলে দাবি। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে রাতে ঘটনাস্থলে যায় নানুর থানার পুলিশ। দু’ পক্ষের ৮ জনকে আটক করেছে তারা।
অন্যদিকে, ময়ূরেশ্বর বিধানসভার কুণ্ডলা গ্রামে বিজেপি নেতার বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হল ড্রামভর্তি তাজা বোমা। বিজেপির বুথ সভাপতি অভিজিৎ বাগদীর দাবি, গতকাল পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বচসা হয়। সেইসময় তৃণমূল কর্মীরা বাড়িতে বোমা রেখে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয় বলে বিজেপির বুথ সভাপতির অভিযোগ। আজ সকালে বাড়ির কাছেই ড্রামভর্তি বোমা দেখতে পান বিজেপি নেতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। বোমা রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এর আগে গতকালই বীরভূমের নানুরে বিজেপি প্রার্থী তারক সাহার প্রচারে বাধা দানের অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে বাধা দিতে গুলি চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। প্রচারে বাধার পর এখনও সংশ্লিষ্ট গ্রামেই দীর্ঘক্ষণ বিজেপি প্রার্থী আটকেও ছিলেন। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বিজেপি অভিযোগ করেছিল, ভোটের প্রচারে নানুরের বড়াগ্রামে গ্রামে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সময় একদল বহিরাগত হামলা চালায়। তারা গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, যারা হামলা চালিয়েছে তারা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। যদিও শাসকদল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপি প্রার্থী তারক সাহা বলেন, দু-রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে তাঁকে লক্ষ্য করে। যদিও সৌভাগ্যবশত গুলি তাঁর গায়ে লাগেনি। গোটা ঘটনা নির্বাচন কমিশনে জানানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি।