আসানসোল: ভোটের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সার্টিফিকেট পাবেন দিদি, আসানসোলে বিজেপির প্রচার সভায় ফের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর দাবি, ৪ দফার ভোটে খান খান হয়ে গেছে তৃণমূল।
এদিন আসানসোলে নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ''ছাপ্পা ভোট বন্ধ হওয়াতেই রেগে যাচ্ছেন দিদি। আপনি যতখুশি ষড়যন্ত্র করুন। এবার দিদির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করবে বাংলার মানুষ। ভোটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সার্টিফিকেট পাবেন আপনি। সেই সার্টিফিকেট সারাজীবন ঘরে টাঙিয়ে রাখবেন।
‘চার দফার মতদান, টিএমসি হল খান খান''
শনিবার আসানসোলের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উন্নয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন মোদি। তিনি বলেন, ''জনগণের উন্নয়নের কথা ভাবেন না দিদি।
করোনা নিয়ে কেন্দ্রের একাধিক বৈঠকে আসেননি। দিদির অহংকার এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যে সবাইকে তিনি ছোট দেখেন। করোনা নিয়ে গত দুটো বৈঠকে সব মুখ্যমন্ত্রী এলেও তিনি আসেননি। একই ঘটনা ঘটেছে গঙ্গাসাফাই নিয়ে বৈঠকে। নীতি আয়োগের বৈঠকেও আসার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। এমনকী কেন্দ্রীয় সংস্থা রাজ্যে কিছুর অনুসন্ধান করতে এলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।''
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ''রাজ্যের মানুষের কথা ভাবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার বার উন্নয়নের কাজে বাধা দিয়েছেন।শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে আইন এনেছে কেন্দ্র। শরনার্থীদের জন্য এই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন দিদি। সংখ্যালঘু মহিলাদের তিন তালাক আইন উঠিয়েদে ওয়ার আইন আনা হয়েছে। সেখানেও দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি।আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ৫ লক্ষ টাকা দিতে চাইলে আটকে দেন দিদি। রাজ্যের কৃষকদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেখানেও বাধা দেন তিনি।বাংলার উন্নয়নের জন্য দিদির সময় নেই।''
এই বলেই থেমে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী। নাম না করে এদিন শীতলকুচিকাণ্ডের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''দুঃখজনক মৃত্যু নিয়েও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন দিদি। রাজনীতির জন্য জওয়ানদেরও রেয়াত করেন না। তাদের বিরুদ্ধেও মন্তব্য করেন। নিজেকে দেশেরসংবিধানের থেকেও বড় ভাবেন তিনি।কিছুই নেই তৃণমূলে, এবার তাই ভোট পদ্মফুলে।’