সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া: হুগলির চুঁচুড়ার এক অনুষ্ঠানে ভিড়ের মধ্যে থেকে তাঁর দিকে বিষাক্ত রং ছোড়ার অভিযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। আজ সন্ধেয় রবীন্দ্রনগরে এক বসন্তউত্‍সবের অনুষ্ঠানে ওই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।


রঙের উত্‍সবে লাগল রাজনীতির রং। শুরু হল বিতর্ক। এবার চুঁচুড়া কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। চুঁচুড়ায় প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন লকেট। আজও তিনি টোটোয় প্রচার করেন। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে রাস্তার ধারেই স্থানীয় বাসিন্দারা আয়োজন করেছিলেন বসন্ত উত্‍সবের। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের আমন্ত্রণে টোটো থেকে নেমে পড়েন বিজেপি প্রার্থী।  তিনি মাঠের দিকে এগিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে দাবি, সেই সময় তাঁর দিকে কেউ রং ভর্তি বেলুন ছুড়ে মারে। তা লাগে প্রার্থীর চোখে।


যদিও বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁর দিকে বিষাক্ত রং ছুড়ে মেরেছে তৃণমূলের লোকজন।  তাঁর উদ্দেশে গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ লকেটের। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। চুঁচুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদারের পাল্টা দাবি, ‘প্রচারে অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার জন্য এরকম করেছে।’ রাজ্যে বিধানসভা ভোট শুরুর দিনই এই ঘটনাকে ঘিরে সরগরম হুগলির রাজনীতি।


এদিকে, আজ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গের মহারণ। বিধানসভা ভোট। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আট দফায় ভোট গ্রহণ চলবে। আজ প্রথম দফায় রাজ্যের পাঁচ জেলার তিরিশটা আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি আসনই জঙ্গলমহলের চার জেলায়, সাতটি আসন পূর্ব মেদিনীপুরে। এই ৩০টি আসনের মধ্যে পুরুলিয়ায় ৯টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৯টি, বাঁকুড়ায় চারটি, পূর্ব মেদিনীপুরের সাতটি এবং ঝাড়গ্রামে চারটি আসন রয়েছে।


২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে এই ৩০টি আসনের মধ্যে ২৭টিতেই জিতেছিল তৃণমূল। আর তিনটি আসনে জিতেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কিন্তু, তারপর তিন বছরে ছবিটা অনেকটাই পাল্টে গেছে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফল অনুযায়ী, প্রথম দফার এই ৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ১৭টি আসনে আর তৃণমূল এগিয়ে ১৩টিতে।