গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের নানুরে বিজেপির স্থানীয় নেতার বাড়িতে বোমাবাজি। হাসানে বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিসে হামলা। গতকাল রাতের দুটি ঘটনাতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির। দু’টি অভিযোগই অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বেলুডির বিজেপির বুথ সভাপতি রাম হাজরা বলেন, ‘‘বলেছিল, পাঁচ মিনিট লাগবে উড়িয়ে দিতে। তারপরই আমার বাড়িতে বোমাবাজি হয়।’’
বীরভূমের নানুরের বেলুডি গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বুধবার রাতে বোমাবাজি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির সামনে থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে নানুর থানার পুলিশ। নানুরের বেলুড়ি গ্রামের এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। বেলুডির বিজেপির বুথ সভাপতি রাম হাজরা জানান, ‘‘আমাকে বলেছিল, বিজপি করা যাবে না। গতকাল মিটিং করে। বলেছিল, পাঁচ মিনিট লাগবে উড়িয়ে দিতে। তারপর রাতেই বোমাবাজি হয়।’’
রাতেই নানুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে যান নানুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহা। যদিও বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নানুরের স্থানীয় তৃণমূল নেতা অশোক ঘোষ দাবি করেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয় ৷’’ বীরভূমেরই হাসান বিধানসভা কেন্দ্রের মাড়গ্রাম থানা এলাকার জোঘার গ্রামে বুধবার রাতে বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিসে হামলা হয়। ছেঁড়া হয় পতাকা পোস্টার। আগামী ২৯ এপ্রিল, শেষদফায় বীরভূমে ভোট।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে প্রচার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন হাড়োয়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি, উঠল গো ব্যাক স্লোগান। বিজেপির প্রার্থীর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি প্রার্থীকে চান না গ্রামবাসীরা। তাই তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। শাসন এলাকা হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। বৃহস্পতিবার প্রথমবার শাসনে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী রাজেন্দ্র সাহা। সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। দাপুটে বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার।