সঞ্চয়ন মিত্র ও বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৩০ নম্বর বুথে উত্তেজনা। তৃণমূল প্রার্থী বুথে ঢুকতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান বিজেপি কর্মীদের। ধাক্কাধাক্কির মধ্যেও পড়েন প্রার্থী। ভাঙচুর করা হয় তাঁর নির্বাচনী এজেন্টের গাড়ি। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।


প্রথম দফা ভোটের পর একই চিত্র দ্বিতীয় দফার ভোটেও। দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং উত্তেজনার ছবি। দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনই বুথে গিয়ে হামলার মুখে পড়লেন চণ্ডীপুরের তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তী। প্রার্থীকে ঘিরে ধরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মীদের ধাক্কাধাক্কির মধ্যেই বুথে ঢুকে যান প্রার্থী। বুথের বাইরে ভাঙচুর করা হয় সোহমের নির্বাচনী এজেন্টের গাড়ি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন এই দৃশ্যের সাক্ষী রইল পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর। এই কেন্দ্রে এবার অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।


সোহমের দাবি, দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন কাতুয়ার ৩০ নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ পেয়ে পরিস্থিতি দেখতে যান তিনি। অভিযোগ, বুথের বাইরে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের জমায়েত ছিল। সোহমকে দেখা মাত্রই জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মীদের ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়েন সোহম। এরইমধ্যে কোনওরকমে বুথের ভিতরে যান তিনি। গন্ডগোল তখনও চলছে। বুথের বাইরে ভাঙচুর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট আজিমূল হোসেনের গাড়ি। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা মারধর করেন তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে। 


তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, এর আগে ২৩ ও ২৪ নম্বর বুথে ঢুকতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বাধার মুখে পড়েছেন তিনি। সেই সময় উপস্থিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর থেকেও সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীর। প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের সোহম চক্রবর্তী ছাড়াও মূল লড়াইয়ে রয়েছেন বিজেপির পুলককান্তি ওড়িয়া এবং সংযুক্ত মোর্চার তরফে সিপিএম প্রার্থী আশিস গুছাইত।