সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্যের ঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের বিরুদ্ধে। এলাকায় উত্তেজনা। কয়েকদিন ধরেই ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে আইএসএফ, অভিযোগ তৃণমূলের। নিজেরা আগুন লাগিয়ে বদনামের চেষ্টা করছে, প্রতিক্রিয়া আইএসএফ-এর।
মাঠের মাঝখানে দাউ দাউ করে জ্বলছে দরমার ঘর। আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে তৃণমূলের পতাকা, নির্বাচনী প্রচারের ফ্লেক্স। ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত হাওড়ার জগৎবল্লভপুর। সোমবার রাতে এখানেই স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
ঠিক কী হয়েছিল? সন্তোষপুর বরগেছিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য সরিফুল শেখের দাবি, সোমবার রাতে দলীয় কর্মীদের নিয়ে গ্রামেরই একটি বাড়িতে বৈঠক করছিলেন তিনি। তখনই খবর পান, তাঁর ঘরে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে দেখেন প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে তাঁর ঘর।
কিন্তু কে করল এই কাজ? তৃণমূল নেতার অভিযোগ, কয়েকদিন ধরেই এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন আইএসএফ কর্মীরা। ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার। সোমবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাতেও আইএসএফ-কেই দায়ী করেছে শাসকদল।
পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতা সরিফুল শেখ বলেছেন, ‘আগুন লাগানোর পিছনে আইএসএফ কর্মীদের হাত আছে। তারাই ভয় দেখানোর জন্য এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এলাকায় পরিকল্পনা করে অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করছে।’
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ আইএসএফ। জগৎবল্লভপুরে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী শেখ সাব্বির আহমেদের দাবি, ‘তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। তাই নিজেরা আগুন লাগিয়ে আমাদের নামে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। এতে লাভ হবে না।’
এই অবস্থায় আগামী ৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফায় ভোট রয়েছে জগৎবল্লভপুরে। তার আগে সোমবারের ঘটনার পর এই এলাকায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নজরদারি। গোটা ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।