গোপাল চট্টোপাধ্যায়, লাভপুর: বীরভূমের লাভপুরে বিজেপি প্রার্থীকে প্রচারে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাস্তা আটকেই শুরু হল ‘খেলা হবে’ ডিজে বাজিয়ে নাচ। পুলিশের হস্তক্ষেপে এড়ানো গেল অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। শেষে অন্য রাস্তা ঘুরিয়ে দেওয়া হল গেরুয়া শিবিরের মিছিল।


প্রার্থীকে নিয়ে প্রচার করতে গ্রামে ঢোকার মুখে বিজেপি। কিন্তু রাস্তা আটকে ‘খেলা হবে’ ডিজে বাজিয়ে নাচ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। আর মাঝে দাঁড়িয়ে দু’পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টায় পুলিশ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে সোমবার এই ছবিই দেখা গেল বীরভূমের শ্রীনিধিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপীকান্তপুর গ্রামে।


এই এলাকাটি লাভপুর বিধানসভার অন্তর্গত। সোমবার সকালে এখানে প্রচার করতে আসেন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল। অভিযোগ, তাঁকে আসতে দেখেই তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে চালানো হয় খেলা হবে গান। আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। প্রথমে সেদিকে যেতে শুরু করলেও বিজেপি প্রার্থীকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বচসা বেধে যায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। গ্রামে ঢোকার রাস্তা আটকে তখন ‘খেলা হবে’ গানের তালে নাচতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু কেন তাদের প্রচারে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলে অনড় থাকে গেরুয়া শিবিরও। উঠতে থাকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি চলার পর বিজেপি প্রার্থীর মিছিল অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয় পুলিশ। লাভপুরের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রচারে যাচ্ছিলাম। তৃণমূল আটকে প্ররোচনা দিয়েছে। খেলা হবে স্লোগান দেয়। পুলিশ ওদেরকে না সরিয়ে আমাদের মিথিল ঘুরিয়ে দিল। আমি শান্তি রক্ষায় চলে এলাম ৷’’


অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধেই অশান্তিতে প্ররোচনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। লাভপুরের তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘বিজেপি অশান্তির জন্য প্ররোচনা দিচ্ছে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে লাভপুর আসনে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাভিত্তিক ফল অনুযায়ী, লাভপুরে শাসকদল এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান কমে হয়েছে প্রায় ৪ হাজার৷ অর্থাৎ মাঝের কয়েক বছরে এখানে সংগঠন মজবুত করেছে বিজেপি। আগামী ২৯ এপ্রিল শেষ দফায় ভোট হবে লাভপুরে।