গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম- গ্রামের বাড়ির দেওয়ালে কোনও রাজনৈতিক দল লিখতে পারবে না। এই মর্মে সাইনবোর্ড টাঙালেন বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানা এলাকার এক আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা। যদিও ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে ওই গ্রামে দেওয়াল লেখা হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, সেই লেখা তাঁরা মুছে দেবেন। এ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর শুরু হয়েছে।


ঘরের দেওয়াল রাজনৈতিক দলকে ছাড়তে নারাজ বীরভূমের এক আদিবাসী গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পশু পাখি গাছ পালার ছবিই শুধু থাকবে দেওয়ালে। রাজনৈতিক দলের প্রতীকচিহ্নের আঁকা যাবে না বা প্রার্থীর নাম লেখা যাবে না। বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানা এলাকার সোনাঝুরি খোয়াই লাগোয়া বনের পুকুরডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের আপত্তির কথা সরাসরি গ্রামের বাইরে সাইনবোর্ডে লিখে দিয়েছেন। 


জানিয়ে দিয়েছেন, গ্রামে রাজনৈতিক দেওয়াল লিখন করা যাবে না। যদিও এই সব আপত্তি সাইনবোর্ডে ওঠার আগেই বিজেপির তরফে গ্রামের বাড়ির দেওয়ালে লেখা হয়ে গেছে। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা ওই লেখা মুছে দেবেন। নতুন করে আর কাউকে লিখতে দেবেন না। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের চাপানউতোর। তবে যেভাবে গ্রামবাসীরা রাজনৈতিক দেওয়াল লিখনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আপত্তি তুলেছেন, তা নিয়ে সরগরম শান্তিনিকেতন।


এদিকে রাজ্যে বিধানসভা ভোট শুরু হতে আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে উত্তপ্ত দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলা। কোথাও তৃণমূলের ফ্লেক্স, ফেস্টুন পোড়ানোর অভিযোগ উঠল। কোথাও আবার ছেঁড়া অবস্থায় মিলল বিজেপির ব্যানার। শুক্রবার বোলপুরের তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহর নির্বাচনী সভা উপলক্ষে শান্তিনিকেতনের সুভাষ পল্লি এলাকায় লাগানো হয় ফ্লেক্স, ফেস্টুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া সেইসব ফ্লেক্স, ফেস্টুন শনিবার রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেয় বলে তৃণমূলের অভিযোগ। বোলপুরের তৃণমূল নেতা নিমাই দাস জানান, ‘‘তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ফ্লেক্স, ফেস্টুন লাগানো হয়। গতকাল রাতে বিজেপির দুষ্কৃতীরা সেগুলো ছিঁড়ে পুড়িয়ে দিয়েছে ৷’’