পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: জেলায় ভোট প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিলাবেদ্যা সভামঞ্চে থাকবেন বাঁকুড়ার ১২ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সহ দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই জনসভায় যাওয়ার জন্য বাঁকুড়া-২ ব্লকের মৌকুড়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে করজোড়ে 'নিমন্ত্রণ' করলেন বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র। আর যে আবেদন নিয়ে হাসিমুখে তিনি জানালেন, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলে বুঝলাম, মানুষ সভাস্থলে যেতে একেবারে মুখিয়ে রয়েছে।'


প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে জেলার ১২ বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে গেরুয়া শিবির। একই সঙ্গে আদিবাসী সমাজের একটা বড় অংশের সমর্থন পায় তারা। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনেও সেই ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। আর তাই আদিবাসী বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে এই নিমন্ত্রণ বলে মনে করা হচ্ছে। যে প্রসঙ্গে বিবেকানন্দ পাত্রর সংযোজন, 'আদিবাসী মানুষ তো মোদিজির সঙ্গেই রয়েছেন। পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য তিনি যে কতটা ভাবনাচিন্তা করেন, তা তো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলো থেকেই বোঝা যায়।'


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জেলায় আসার খবরে মানুষ উৎসাহিত দাবি বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের। তিনি বলেন, ২০১৯ এ প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সভা হয়েছে। এবারও তাই হবে বলে তিনি আশাবাদী বলে জানান। কেমন ভিড় হতে পারে জানতে চাইলে প্রত্যয়ী গলায় তাঁর সংযোজন, 'উনিশে্র লোকসভা ভোটের আগে যত মানুষের ভিড় হয়েছিল, এবার তার থেকেও বেশি হবে। নতুন ইতিহাস তৈরি হবে। আমরাই দেখবেন আমাদের রেকর্ড ছাপিয়ে যাব।'




কিছুদিন আগে পুরুলিয়ায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভা ছিল। সেই সভায় সেভাবে ভিড় হয়নি বলেই কটাক্ষ রাজ্যের শাসকদলের। যে প্রস্ন জানতে চাইলে বাঁকুড়ার বিজেপি নেতার গলায় অবশ্য অন্য সুর। তাঁর দাবি, 'দুপুর একটায় গনগনে রোদ উপেক্ষা করেও মানুষ হাজির হয়েছিলেন জনসভায়। আমরা আচ্ছাদনটুকু জোগাড় করতে পারিনি তাড়াহুড়োতে। তবে তা সত্বেও উথসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন।'


তৃণমূল কংগ্রেসের সভাস্থলে লোক না হওয়ার খোঁচার পাল্টা বিবেকানন্দের সংযোজন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সভাতেই তো লোক নেই।'