সমিত সেনগুপ্ত, খড়গপুর: মোদির সভায় মোদি কোট। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা নেতা নেত্রীদের সমর্থনে তাঁদের প্রতি আনুগত্য দেখতে অনেক কিছু করে থাকেন। শনিবার খড়গপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দেখা গেলো এমনই এক সমর্থককে যিনি প্রধানমন্ত্রী প্রিন্টের কোট বানিয়ে ফেলেছেন। কাপড় এনেছেন খোদ মোদির রাজ্য গুজরাত থেকে।


চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া। ছোট খাটো চেহারার চন্দ্রশেখর বাবুকে মুরলিধর সেন স্ট্রিটে প্রায় সকলেই চেনেন। রাজ্য বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ অথবা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় নেতার কর্মসূচির জন্য ন্যাশনাল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব চন্দ্রশেখরের। সেই সূত্রেই গুজরাতর এক নেতার সঙ্গে বেশ কিছুদিন আগে আলাপ। গুজরাতের সেই সতীর্থই চন্দ্রশেখরকে এই মোদি প্রিন্টের ছিট পাঠিয়েছেন উপহার হিসেবে। আর তা দিয়েই তৈরি করেছেন তিনটি নেহেরু কোট।


আরও পড়ুন: PM Modi Dhaka Visit: মোদির বাংলাদেশ সফরের অন্যতম আকর্ষণ ‘মুজিব জ্যাকেট’


যদিও মোদি জমানায় অনেকেই এই পোশাককে নেহেরুর বদলে মোদি কোটও বলে। শনিবার খড়্গপুরের বি এন আর ময়দানে ভিভিআইপি জোনে কর্তব্যরত ছিলেন চন্দ্রশেখর বাবু। প্রধানমন্ত্রীর মুখ আঁকা কোট রীতিমতো নজর কেরেছে সকলের। এমনিতেই আস্তে আস্তে উষ্ণতার পারদ চড়তে শুরু করেছে। আর মোদির সভাতেও দর্শকদের জন্য ছিল না কোন ওপ্যান্ডেল এর ব্যবস্থা। সেই প্রখর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে গলদঘর্ম হয়েও মোদি কোটে নিজেকে বেশ মেলে ধরছিলেন। সাদার উপর বিভিন্ন রঙের মোদির মুখ বসানো ওই কোটে।


চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া বলেন, "বন্ধু পাঠিয়েছে কাপড়। মাত্র ৭০০ টাকা মজুরি দিয়েই তৈরি করেছি কোট। দলের সবচেয়ে বড় নেতা আসছেন, তাই তাঁকে সম্মান জানিয়ে গরম উপেক্ষা করেই এই কোট পরেছি। হয়ত এর ভিড় আর নিরাপত্তা বেষ্টনী পেড়িয়ে নরেন্দ্র মোদির চোখ আমার দিকে নাও পরতে পারে। কিন্তু, আমার এই পোশাক তাঁকে সম্মান জানিয়েই তৈরি করানো হয়েছে।" চন্দ্রশেখর জানালেন, ভারতের ম্যানচেস্টার সুরাতে পাওয়া যায় এই মোদি প্রিন্টের কাপড়। সেখান থেকেই এই কাপড়ে বঙ্গে আগমন।