রঞ্জিত হালদার, নরেন্দ্রপুর: নরেন্দ্রপুরে তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বিজেপির পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বচসা। বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের মেয়ের শ্লীলতাহানি, বাধা দেওয়ায় মাথায় ধারাল অস্ত্রের কোপ, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রীর অভিযোগ, গতকাল বাড়ির সামনে তৃণমূলের পতাকা খুলে বিজেপির পতাকা লাগানো হচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় দু’ পক্ষের বচসা বাধে। বিদায়ী কাউন্সিলরের বাড়িতে ঢুকে তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানি, মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী রণজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর পুলিশ। পতাকা লাগানো নিয়ে গণ্ডগোলের কথা স্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
পাশাপাশি বাড়ি। রাস্তায় বেরলেই একে অন্যের মুখোমুখি হন। কিন্তু ভোটের রাজনীতির কাছে, হার মানল সেই প্রতিবেশীর সম্পর্ক। পতাকা লাগানো নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে, তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরের মেয়ের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হলেন বিজেপি কর্মী। উঠেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগও।
শনিবার দুপুরে রাজ্যের এক প্রান্তে যখন ভোটগ্রহণ চলছিল, তখন এই ছবি ধরা পড়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির সামনে থেকে তৃণমূলের পতাকা খুলে বিজেপির পতাকা লাগানো হয়। এই নিয়েই প্রতিবেশীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তখনই হঠাৎ বিদায়ী কাউন্সিলরের মেয়ের মাথায় দা দিয়ে আঘাত করেন বিজেপি কর্মী রণজিৎ মণ্ডল।
গোটা ঘটনা ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়। গুরুতর জখম অবস্থায় পিয়ারলেস হাসপাতাল ভর্তি রয়েছেন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের মেয়ে। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ জানানো হয়েছে।অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল। এরপরই শনিবার রাতে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী রণজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
১০ এপ্রিল চতুর্থ দফায় ভোট হবে সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে। তার আগেই রাজনীতি নিয়ে রক্তারক্তি হয়ে গেল প্রতিবেশীদের মধ্যে।