কলকাতা: দুজনেই ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ। কিন্তু রাজনীতির মঞ্চে তাঁরা যুযুধান দুই পক্ষ। বিজেপি ও তৃণমূল। কিন্তু রাজনীতি পেরিয়ে তাঁদের গলায় শোনা গেল একে অপরের জন্য সৌজন্যের সুর। অঞ্জনা বসু ও লাভলি মৈত্র। সোনারপুর কেন্দ্রের দুই প্রার্থী।


গত প্রায় ১ মাস ধরে নিজের কেন্দ্র প্রচার সেরেছেন লাভলি মৈত্র ও অঞ্জনা বসু। প্রচারে বেরিয়ে কখনও সাইকেল চালিয়েছেন লাভলি, অন্যদিকে আবার মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন অঞ্জনা। তবে জয়ের বিষয়ে দুপক্ষই সমান আত্মবিশ্বাসী। আজ চতুর্থ দফায় নির্বাচন ছিল সোনারপুর কেন্দ্রে। সকাল সকাল এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েছিলেন দুই প্রার্থী।


আজ এবিপি আনন্দের প্রশ্নের উত্তরে লাভলি বলেন, 'গতকাল প্রায় গোটা রাত কাজ চলেছে। অনেক রাতে ঘরে গিয়েছি। আবার আজ সকালেই বেরিয়ে পড়েছি। আজই তো পরীক্ষার দিন।' তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরতে ঘুরতে প্রতিপক্ষ অঞ্জনা বসুর সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে তিনি কী করবেন? স্বভাবসিদ্ধভঙ্গিতে হেসে লাভলি উত্তর দেন, 'রাজনীতির ময়দানে উনি আমার প্রতিপক্ষ হতে পারেন কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে আমাদের কোনও বৈরিতা নেই। তাই দেখা হলে আজকের জন্য শুভেচ্ছাই জানাব।'


অন্যদিকে সেই একই সুর শোনা গেল অঞ্জনা বসুর গলাতেও। লাভলি মৈত্রের সঙ্গে যদি তাঁর দেখা হয়ে যায় আজ? অঞ্জনা বললেন, 'যাঁরা আমার থেকে ছোট, তাঁদের ওপর সবসময় আমার একটা স্নেহ কাজ করে। লাভলি তো আমার থেকে ছোট, বোনের মত। ওর সঙ্গে যদি দেখা হয়, জড়িয়ে ধরে আদরই করে দেব না হয়।' অঞ্জনা আরও জানান, এতদিন তিনি ভাবতেন, তাঁকে সবাই অভিনেত্রী হিসেবেই পছন্দ করেন। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি বুঝেছেন, অভিনয়ের বাইরেও তাঁকে ভালোবাসে মানুষ।


চতুর্থ দফা নির্বাচনে গোটা দিনের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রইল কোচবিহারের শীতলকুচি। দফায় দফায় অশান্তিতে প্রাণ গেল ৫ ভোটারের। কার্যত রক্তক্ষয়ী এই পর্বের ভোটের মধ্যে সোনারপুরে সৌজন্যের সেতু বাঁধলেন অঞ্জনা ও লাভলি। মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ভোটও হল সেখানে।