বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: মহাযুদ্ধের এপিসেন্টার নন্দীগ্রামে তৈরি হচ্ছে তিন তিনটি হেলিপ্যাড। তৃণমূলের দুটি, বিজেপির একটি। প্রচারে ঝড় তুলতে মরিয়া দুপক্ষ। ভোটপাখি ওঠানামার আগেই হেলিপ্যাড নির্মাণ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে জমি আন্দোলনের ধাত্রীভূমিতে।


বিধানসভা ভোটে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিপক্ষ তাঁরই দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। প্রচারে ঝড় তুলতে দুই শিবিরের তরফে গড়ে তোলা হচ্ছে হেলিপ্যাড। তৃণমূলের তরফে নন্দীগ্রামের বটতলা এলাকায় হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে ট্রায়াল রান। তৃণমূলের দুটো হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে ৷ একটা হচ্ছে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের বটতলা এলাকায় ৷ দ্বিতীয়টা হচ্ছে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের রেয়াপাড়াতে৷


তৃণমূলের তরফে নন্দীগ্রামের বটতলা এলাকায় হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে ট্রায়াল রান। অন্যদিকে, হরিপুর এলাকায় প্রায় ২ একর জায়গা নিয়ে বিজেপির তরফে হেলিপ্যাড বানানো হয়েছে। পাশাপাশি, তৈরি করা হয়েছে অ্যাপ্রোচ রোডও। বিজেপির দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সর্বভারতীয় নেতাদের প্রচারে আনার কথা ভেবেই এটি তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপির প্রচার খরচ জোগাচ্ছেন শিল্পপতিরা। সেই কারণেই ব্যয়বহুল হেলিপ্যাড তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।


বিজেপির জন্য হরিপুরে হেলিপ্যাড নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে। অন্যদিকে, হরিপুর এলাকায় প্রায় ২ একর জায়গা নিয়ে বিজেপির তরফে হেলিপ্যাড বানানো হয়েছে। বিজেপি নেতা কনিষ্ক পন্ডা জানাচ্ছেন, ‘‘আমাদের এটা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যাতে সহজে আসতে পারেন, তার জন্য হেলিপ্যাড করা হয়েছে।’’ পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের সহ সভাপতি শেখ সুফিয়ান বলেছেন, ‘‘আমাদের তো মা মাটি মানুষের সরকার। চেয়েচিন্তে চলে। ওদের পাশে শিল্পপতিরা। তাই কংক্রিটের হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে ৷’’