কলকাতা: নন্দরাম মার্কেটের দুঃস্বপ্ন ফিরল স্ট্র্যান্ড রোডে। পূর্ব রেলের অফিসে বিধ্বংসী আগুন লাগল সোমবার সন্ধ্যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তাঁদের মধ্যে ৫ জন দমকলকর্মী। একজন রেলের আরপিএফ। একজন হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই। আগুন লাগা ও মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তিনটি পৃথক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি তদন্ত করবে কলকাতা পুলিশ। তদন্ত করবে দমকল। অন্য দিকে রেলও পৃথক তদন্ত করবে গোটা ঘটনার।


ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এটা রেলের ভবন। খুব পুরনো ভবন। আগুন নেভাতে গিয়ে ৭ জন মারা গিয়েছেন। ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীদের থেকে শুনেছি, লিফট দিয়ে উঠতে গিয়েছিলেন। বিদ্যুতের ঝলকের মতো আগুনের লেলিহান শিখা শরীর ঝলসে দিয়েছে। ৭ জন মারা গিয়েছেন। যতক্ষণ না সনাক্তকরণ হচ্ছে, ততক্ষণ সব নাম বলা যাচ্ছে না।’


মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, সরকারি চাকরি, ঘোষণা মমতার


মৃতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। মমতা বলেছেন, ‘মৃত্যুর বিকল্প হয় না। তবে পরিবারগুলোকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেব। ওরা এখনও কোনও খবর পায়নি।‘ পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রেলের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেছেন, ‘রেলের জায়গা, রেলের সবটাই। তাদের ওপরও দায়িত্ব বর্তায়। ওরা কেউ আসেনি। দমকল থেকে ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল। এত বড় বিল্ডিংয়ে কোথায় কী রয়েছে জানা সহজ হতো। সেই সহযোগিতাও করেনি বলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু আমাকে জানিয়েছে। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি চাই না। ফায়ার ব্রিগেডের কর্মী, আধিকারিক থেকে শুরু করে পুরমন্ত্রী, দমকলমন্ত্রী, সকলে আছেন। আগুন নিয়ন্ত্রিত, তবে প্রাণগুলো চলে গিয়েছে।‘


সোমবার সন্ধে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে বহুতলের ১৩ তলায়। ক্রমশ তা ছড়িয়ে পড়ে ১২ তলায় রেকর্ড রুমে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণ বন্ধ হয়ে যায় বাবুঘাট থেকে হাওড়া পর্যন্ত যান চলাচল।