কলকাতা : পঞ্চম দফার ভোট ঘিরে দিনভর অশান্তি ছবি ধরা পড়ল বিভিন্ন কেন্দ্রে। যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বিজেপি-তৃণমূল। এদিকে গতকাল বিজেপির প্রকাশিত অডিও ক্লিপ নিয়েও উভয়পক্ষের মধ্যে কম রাজনৈতিক চাপানউতোর ছিল না গতকাল সারাদিনও। অডিও বিতর্কে নিজের নিজের দাবি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হল উভয়পক্ষ।
কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার পর বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ডেরেক ও' ব্রায়েন ও সুখেন্দু শেখর রায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথপোকথনের সময় অডিওর সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। এই অডিওর একমাত্র লক্ষ্য ছিল, মেরুকরণ করা।
প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে অশান্তি ছড়ায় শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের। আহত হন আরও চারজন। ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনা নিয়ে ফোনে দুইজনের কথপোকথনের একটি অডিও গতকাল সামনে আনে বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য দাবি করেন, ফোনের এক প্রান্তে যে মহিলার গলা শোনা যাচ্ছে তা মমতার। অপর প্রান্তে থাকা পুরুষ কণ্ঠটি কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়ের।
যদিও গতকালই অডিও ক্লিপটিকে বোগাস বলে আখ্যা দিয়েছিল তৃণমূল। এনিয়ে বিজেপির মতোই কমিশনের দ্বারস্থ হয় তারা। বেআইনিভাবে এই কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে বলে কমিশনের কাছে নালিশ জানায় যশবন্ত সিনহা, ডেরেক ও' ব্রায়েন ও পূর্ণেন্দু বসু নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।
যশবন্ত সিনহা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কমিশনকে বললাম যে ভোটের একদিন আগে বিজেপি একটি তথাকথিত টেপ প্রকাশ করল এবং এটা বিজেপির নোংরা কৌশল। ভোটারদের প্রভাবিত করতে ভোটের একদিন আগে এটি প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশনের সামনে সবথেকে বড় প্রশ্ন কে এই কথোপকথন ট্যাপ করছিল। আমি নিজেও একজন মন্ত্রী ছিলাম। তাই বলছি, একজন অপরাধীরও কথপোকথন রেকর্ড করার কিছু প্রক্রিয়া আছে।
ঘটনায় যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন পূর্ণেন্দু বসু।