রঞ্জিত হালদার ও সুজিত মণ্ডল- কোথাও প্রচার গাড়িতে ভাঙচুর, কোথাও আবার অস্থায়ী নির্বাচনী অফিসে হামলা। একের পর এক হামলার অভিযোগ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। সোনারপুরে ও রানাঘাটে ভোটের মুখে আক্রান্ত হল বিজেপি। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। দুই ক্ষেত্রেই তাদের দিকে আঙুল উঠলেও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
নরেন্দ্রপুর থেকে রানাঘাট বা মধ্যমগ্রাম। ভোটের মুখে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় নিশানায় বিজেপি। মঙ্গলবার রাতে সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বনহুগলিতে বিজেপির প্রচার-গাড়ি ভাঙচুর হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীর মিছিল থেকেই হামলা চালানো হয়। প্রতিবাদে নরেন্দ্রপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মীরা। সোনারপুরের বিজেপি নেতা সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীর সামনে ট্যাবলো যাচ্ছিল। গাড়ি ভাঙচুর করে বলে বিজেপি করা যাবে না ৷’’
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, প্রচারে আসতে এমন অভিযোগ করেছে বিজেপি। বনহুগলির পঞ্চায়েত নরেন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা ও প্রধান উদয়ন মণ্ডল জানান, ‘‘নিজেরা, নিজেরাই এসব করে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে, আমাদের এলাকায় বিজেপির পতাকা আছে কোথায় কিছু হয়নি ৷’’
অন্যদিকে বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর চালানো হয় রানাঘাটের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় বিজেপির ফ্লেক্সও। যা নিয়ে চাপানউতোরে তুঙ্গে। রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থীর পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘আমাদের অস্থায়ী দলীয় কার্যালায় রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের লোকজনরা ভেঙে দিয়েছে, বেশ কয়েকটি ফ্লেক্স কেটে নষ্ট করে দেয় ৷’’ রানাঘাট টাউনের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পবিত্র ব্রক্ষ জানান, ‘‘৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে , কমিশনে অভিযোগ দায়ের হয়, ওরাই করেছে, এর সঙ্গে দলের যোগ নেই ৷’’ মধ্যমগ্রামের শ্রীনগরেও বিজেপির ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
এদিকে খানাকুলে তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধারের পর রাজহাটিতে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা। বিজেপির অভিযোগ, রাত আটটা নাগাদ লাঠি রড নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁদের ৬ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী নিখোঁজ। ২ গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, বলছে শাসক দল।