কলকাতা: ফের কমিশনের ‘নজরবন্দি’ অনুব্রত মণ্ডল। আজ বিকেল ৫টা থেকে ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত ‘নজরবন্দি’। বীরভূমে ভোটের আগে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। ২৯ এপ্রিল শেষদফায় ভোট বীরভূমে। 


একধিক অভিযোগ জমা পড়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এমনটাই জানা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভিডিওগ্রাফি করা হবে। নজরদারিতে থাকবেন বাহিনীর জওয়ানরা। বীরভূমের জেলা সভাপতির সঙ্গে থাকবেন একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। 


উল্লেখ্য, "এর আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোট, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় নজরবন্দি করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এবিষয়ে বীরভূম জেলা সভাপতি বলেন, নজরবন্দি মানে কি গৃহবন্দি না কি? নজরবন্দি মানে তো আমার সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জওয়ানরা থাকবেন। আমি যেখানে যেখানে যাব আমার সঙ্গে তাঁরা যাবেন।" স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তিনি বললেন, "খেলা হবে।" 


অনুব্রত মণ্ডলের নজরদারি নিয়ে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "প্রত্যেকবার ভোটের আগে অনুব্রতকে নজরবন্দি করে রেখে দেওয়া হয়। এটা ঘোরতর অপরাধ। ওঁকে বলেছে এইবার এরকম কিছু হলে তুমি আদালতে যাবে। নিরাপত্তা নেবে।"


নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। এবিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "অনুব্রত মণ্ডলের যা কথার ধরণ তাতে উনি বাইরে থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এমনকী পুলিশ প্রশাসনও কাজ করতে পারবে না। উনি দাঁড়িয়ে বলছেন পুলিশকে বোম মারো। সেই ব্যক্তি বাইরে থাকলে নির্বাচন প্রভাবিত হবে।" 


উল্লেখ্য, বীরভূমে ভোটের ঠিক মুখে গতকাল গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি, অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। আজ, মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজির হতে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই তাঁর এক সহযোগীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।


আজ, সিবিআই দফতরে আজ হাজির হতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দেন অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর সহযোগী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত চিঠি দিয়ে সিবিআইকে জানিয়েছেন, তিনি কিডনির অসুখে ভুগছেন।  করোনার এই পরিস্থিতিতে তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। তাই তাঁকে আরও সময় দেওয়া হোক। অনুব্রতর যে সহযোগীকে তলব করা হয়েছিল, তিনিও জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত। তিনি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তাই তিনিও সিবিআই দফতরে আসতে পারবেন না।