বোলপুর: আজ বীরভূমের ১১টি আসনে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শুরুর পাঁচ ঘণ্টা পর বাড়ি থেকে বেরোলেন নির্বাচন কমিশনের 'নজরবন্দি' বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বাইকে করে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে গেলেন তিনি। নজরদারি বাহিনীও বাইকে করে অনুসরণ করছে অনুব্রতকে। রয়েছে কমিশনের দলও। সামনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে নিজের ভোটদান করবেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, এরপর দলীয় কার্যালয়ে বসে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন। তবে সেখানেও বাহিনীর কড়া পাহারা থাকবে বলেই খবর।
সকাল থেকেই কমিশনের নজরবন্দি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর বাড়ির বাইরে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রয়েছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরাও। বাড়ির চত্বরে টহল দিচ্ছেন তাঁরা।
আজ শেষ দফা ভোট। গত ২৭ এপ্রিল থেকেই নজরবন্দি অনুব্রত মন্ডল। এর আগে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। ২৭ এপ্রিল বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার ৭টা পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে রাখার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। বীরভূমের জেলা সভাপতির বাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেট পদের আধিকারিকরা যান। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির বাইরে একটি গেটের সামনে মোতায়েন করা হয় জওয়ান। অন্যদিকে আর একটি গেটের সামনে রাখা হয় আরও এক জওয়ানকে। সবমিলিয়ে সেদিন থেকেই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী মধ্যেই রাখা হয় তাঁকে।
এতকিছুর পরও গতকাল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে 'ফাঁকি' খানিক্ষণের জন্য উধাও হয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। নজরদারির জন্য মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সামনে দিয়েই সকালে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান অনুব্রত। তাঁকে ধাওয়া করেও লাভ হয়নি শুরুতে। রাস্তায় তাঁর গাড়ির হদিশ হারিয়ে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজতে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনারা। প্রায় ২-৩ ঘণ্টা খোঁজার পর অবশেষ খোঁজ মেলে বীরভূমের কেষ্টর।
বুধবার সকাল থেকেই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে লুকোচুরির মধ্যেই তারাপীঠ মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন অনুব্রত মণ্ডল। পুজো দিয়ে মন্দির থেকে বেরিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন,'মাকে যা বলার বলে দিয়েছি। মাকে যা বলার বলেছি।'
পাশাপাশি গতকাল অনুব্রত মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, "নির্বাচন কমিশনের পুলিশ নোংরামি করছে। আমি চাই বীরভূমে যেমন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়, এবারও তাই হোক। কোন ঝামেলা যেন না হয়।" পুলিসের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, "সব থানা থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। অথচ দুষ্কৃতীদের ধরছে না পুলিশ।'