নয়াদিল্লি: পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়ঙ্কর থেকে আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে ৷ দেশে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ বাড়ছে মৃত্যুও ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউইয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিডে আক্রান্ত ৩,৭৯,২৫৭ জন ৷ মৃত্যু হয়েছে ৩৬৪৫ জনের ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২,৬৯,৫০৭ জন ৷ 





একদিনে মৃত্যুর নিরিখে এই সংখ্যা গোটা অতিমারি পর্বে দেশে সর্বোচ্চ। করোনায় এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৪ হাজার ৮৩২ জনের প্রাণ কেড়েছে। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩০,৮৪,৮১৪ জন ৷ পাশাপাশি ১৫,০০,২০,৬৪৮ জনকে এখনও পর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে ৷


এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সম্প্রতি জানিয়েছে, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে এক ডজনেরও বেশি দেশে ৷ অর্থাৎ ভারত থেকে করোনার এই স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৷ 


ইউএন হেলথ এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯-এর B.1.617 ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে আরও বেশ কয়েকটি দেশে ৷ অন্তত ১৭টি দেশে পাওয়া গিয়েছে এই ভাইরাস ৷ এই B.1.617 নিয়ে চিন্তিত হু ৷ করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট সব দেশকেই চিন্তায় ফেলার জন্য যথেষ্ট ৷


ভারতে শনাক্ত করোনাভাইরাসের একটি ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন এখন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন।


যে কোনও ভাইরাসই ক্রমাগত নিজের ভেতরে নিজেই মিউটেশন করতে থাকে ৷ অর্থাৎ নিজেকে বদলাতে থাকে, এবং তার ফলে একই ভাইরাসের নানা ধরন তৈরি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন মাথাব্যথার প্রয়োজন হয়না, কারণ নতুন তৈরি অনেক ভ্যারিয়েন্ট মূল ভাইরাসের চেয়ে দুর্বল এবং কম ক্ষতিকর হয়। কিন্তু কিছু ভ্যারিয়েন্ট আবার অধিকতর ছোঁয়াচে হয়ে ওঠে - যার ফলে টিকা দিয়ে একে কাবু করা দুরূহ হয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট - যার বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭ - প্রথম ভারতে শনাক্ত হয় অক্টোবর মাসে।