কলকাতা : রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করা হোক। এই দাবি নিয়ে আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে হাজির হয় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়ে একটি চিঠি জমা করেন প্রতিনিধিরা।


এর আগেও বাকি দফাগুলির ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল। গতকাল হেমতাবাদের সভা থেকে কমিশনের উদ্দেশে হাতজোড় করে তৃণমূল নেত্রী অনুরোধ করেছিলেন, একদিনে নির্বাচন করে দিন, মানুষের জীবন নিয়ে খেলবেন না। বিজেপির কথায় চলবেন না।


সেই একই দাবি নিয়ে আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ছিলেন - সুখেন্দু শেখর রায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, পূর্ণেন্দু বসুরা।  


রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে একটি দাবিপত্র জমা করেন তাঁরা। তাতে আবেদন জানিয়ে বলা হয়, গোটা দেশে করোনার বিপদ বোঝে। এবং অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ রোখার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট ঘোষণা হয়েছিল। তার পর থেকে প্রায় ৫২ দিন ধরে প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীরা প্রচার করার সুযোগ পেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বাকি দফাগুলি একসঙ্গে করে দেওয়া হলে কোনও ক্ষতি হবে না। তাই আমাদের অনুরোধ, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করা হোক। 


তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্য সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত ১৫ এপ্রিল আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল যাতে বাকি দফার ভোটগুলি একসঙ্গে করে দেওয়া হয়। গতকালও তিনি একই আবেদন জানান। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদনপত্র জমা করলাম।


প্রসঙ্গত, বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কলকাতা শহরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ভোট প্রচার করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন জেলাতেও যাবতীয় কর্মসূচির সময় কমিয়ে ফেলছেন। তবে ২৬ এপ্রিল একটি 'সিম্বলিক মিটিং' করবেন মমতা।