নয়াদিল্লি ও কলকাতা: করোনাভাইরাস আক্রান্ত খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র।  সংক্রমিত হয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তাঁরা বাড়িতে থেকেই কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে। 
গত ১৩ এপ্রিল সুনীল অরোরার জায়গায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন সুশীল চন্দ্র।  বাড়িতে থেকেই কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তখনই তাঁর করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। কমিশনের এক আধিকারিক এ কথা জানিয়েছেন। 


নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার সুশীল চন্দ্র ও রাজীব কুমারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।  পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচন চলছে। সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে একজন কমিশনার কম রয়েছেন। কারণ, সুশীল চন্দ্র নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হয়েছেন। 
এর আগে জানা গিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরেও ৩০ জনের মতো কর্মীও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। 


উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দল বড় সমাবেশে লাগাম টেনেছে।  করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কলকাতা শহরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ভোট প্রচার করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন জেলাতেও যাবতীয় কর্মসূচির সময় কমিয়ে ফেলছেন। তবে ২৬ এপ্রিল একটি 'সিম্বলিক মিটিং' করবেন মমতা।


বামেরা ইতিমধ্যেই প্রচারে বড় সভা-সমাবেশ এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী এ রাজ্যে তাঁর যাবতীয় সভা বাতিল করেছেন।


বড় জমায়েত  না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপিও। পরিবর্তে আগামী দফাগুলিতে ছোটো ছোটো সভা করা হবে বলে জানানো হয়েছে দলের তরফে। সেখানে পাঁচশো জন মতো জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হবে।


এরইমধ্যে সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি নিয়ে আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে হাজির হয় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়ে একটি চিঠি জমা দেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, তৃণমূল নেত্রী গতকালও এক দফায় ভোট সেরে ফেলার আর্জি জানিয়েছিলেন কমিশনের কাছে।