কলকাতা: ফের শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের। ভোটের আগে নন্দীগ্রামে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ঢোকানোর অভিযোগ। নন্দীগ্রামের ৭টি জায়গায় দুষ্কৃতীদের জড়ো করা হয়েছে। বারবার অভিযোগ জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল তৃণমূল কংগ্রেস।


এর আগে সোমবার কমিশনে নালিশ জানায় তৃণমূল। তৃণমূলের ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল কমিশনে অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বহিরাগত দুষ্কৃতীদের জমায়েতের ব্য়বস্থা করছেন। ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শশী পাঁজা সহ দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। বিধানসভা নির্বাচনর এপিসেন্টারে ভোটগ্রহণের আগে ফের শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল তৃণমূল।


এদিকে রাত পোহালেই রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার ৩০ আসনে ভোট। তবে সকলের নজরে নন্দীগ্রাম। টানটান উত্তেজনার মাঝেই আগামীকাল ভোট-যুদ্ধে মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। বঙ্গভোটযুদ্ধের এই ভরকেন্দ্রকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তাগ্রহণ করেছে কমিশন। এলাকায় ঢোকার মুখে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। করা হচ্ছে ভিডিওগ্রাফি । জারি ১৪৪ ধারা। হেলিকপ্টারে নজরদারি চালাচ্ছে কমিশন।নন্দীগ্রামের সবকটি বুথকেই স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে তারা। 


কমিশন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ৩৫৫টি বুথের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অর্থাত, দু’হাজারের কাছাকাছি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের দিন মোতায়েন থাকবে নন্দীগ্রামে। সমস্ত বুথেই থাকবে মাইক্রো অবজার্ভার। ৭৫ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।  নন্দীগ্রামে ১ জন করে সাধারণ পর্যবেক্ষক, পুলিশ পর্যবেক্ষক ও ব্যয় পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। 


গতকালই নন্দীগ্রামে তৃণমূল ও বিজেপি মুখোমুখি হওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুভেন্দু অধিকারী, মিঠুনের সভার পরেই আমগাছিয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ, প্রতিবাদে অবরোধ। নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ।হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার। তৃণমূল আশ্রিত ৪ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির। অস্বীকার তৃণমূলের। গণধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগ মঙ্গলবার ফের একবার প্রচারে বেরিয়ে হামলার মুখে পড়লেন নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের পদযাত্রা। কয়েকজন দলীয় সমর্থককে মারধর করা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামা।