ঋত্বিক মণ্ডল, এগরা: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা, বিজেপির আদি বনাম নব্যের লড়াইয়েই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে ভোটের পর থেকে উত্তপ্ত রয়েছে এগরা।


কোথাও ভোট-প্রচারের শেষ লগ্নে চরমে পৌঁছেছে উত্তেজনা। কোথাও চলছে ভোট পরবর্তী হিংসা। গণতন্ত্রের উৎসবের মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় ঝরল রক্ত। মৃত্যু হল এক বিজেপি কর্মীর।


মৃতের নাম জন্মেঞ্জয় দলুই। বাড়ি এগরার বাথুয়াড়িতে। বিজেপির দাবি, মঙ্গলবার সকালে দলীয় কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করে রাস্তাতে ফেলে দিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর।


কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তুলে নিয়ে যায়। মারধর করে মৃত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। তৃণমূলের গুন্ডারা, ২০-২৫ জন তুলে নিয়ে যায়।’


পাল্টা পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর তরুন জানার দাবি, ‘ভোটের সময় বিজেপি পয়সা বিলিয়েছে। তার ভাগ নিয়ে বিজেপির আদি বনাম নব্যের লড়াইয়েই মৃত্যু। এতে আমাদের কেউ যুক্ত নয়।’


ভোটের পর থেকেই উত্তপ্ত এগরা। এবার মত্যু হল বিজেপি কর্মীর। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশের টহল চলছে।


অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে ভোট-পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। পচেট গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্যাণপুর গ্রামে তৃণমূল সমর্থক প্রৌঢ়ার বাড়ি ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের অভিযোগ, রবিবার ওই প্রৌঢ়ার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি প্রৌঢ়াকে মারধর করা হয়। বাধা দেওয়ায় কয়েকজন তৃণমূল সমর্থকও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনা। সবমিলিয়ে ভোটের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত।