কৃষ্ণনগর:  ' বহিরাগতদের এনেছেন কেন? ' কৃষ্ণনগরে কৌশানীকে ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান । বুথে বুথে ঘুরছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। সেই সময় একটি বুথ পর্যবেক্ষণ করে তিনি বেরতেই একদন লোক তাঁকে ঘিরে জয় শ্রী রাম স্লোগান তোলে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে বহিরাগতদের কেন এনেছেন, এই অভিযোগ করে এগিয়ে আসে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি। 
কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের তৃণমূলের প্রার্থী রুপোলি পর্দার পরিচিত মুখ কৌশানী মুখোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী  মুকুল রায়। যিনি কুড়ি বছর পর আবার বিধানসভা ভোটে লড়ছেন। 
অন্যদিকে কালীনগরে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।    কৌশানী মুখোপাধ্যায় বলেন, বাপী শীল বলে এক বিজেপি নেতা শ খানেক লোক নিয়ে তাদের ক্যাম্প অফিসে হামলা চালায়। তাঁর অভিযোগ, মূর্তির মত দাঁড়িয়ে আছে কেন্দ্রীয় বাহিনী । আটকানোর চেষ্টা করছে না বাহিনী। উলটে তৃণমূলের কর্মীদেরই নাকি সরিয়ে দিচ্ছে তারা। অভিনেত্রী-প্রার্থীর দাবি, যারা ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর করেছে তাদের কিছু করা হয়নি। 
সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়ান কৌশানী। তিনি বলেন, যেভাবে জনসংযোগ করে আসছেন, তাতে তিনি মুকুল রায়কে অনেক আগেই হারিয়ে দিয়েছেন। মানুষের সঙ্গে যেভাবে সংযোগ স্থাপন করেছেন তাঁর জবাব এজ ইভিএমে দেবে মানুষ । জয়ের ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী, বলেন প্রত্যয়ী কৌশানী। 'দিদি মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, এই সিটটা উপহার দিতে পারব দিদিকে।'
'গন্ডগোলের জন্য তৈরি আছি, আমার সিকিউরিটি গার্ডরা আছেন, কিন্তু আমি নিজেই আমার জন্য একাই একশ', বলেন কৌশানী।
অন্যদিকে কৃষ্ণনগর উত্তরেই ঠাকুমার হয়ে ভোট দিলেন নাতি।  হরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪৮ নম্বর বুথের ঘটনা। ঠাকুমা দেখতে পান না তাই ভোট দিয়েছি, সাফাই নাতির। বিধিভঙ্গ বলে মনে হয়নি, তাই ভোটদানে অনুমতি, দাবি প্রিসাইডিং অফিসারের। 
আজ ৪ জেলার মোট ৪৩টি আসনে ভোট চলছে। উত্তর ২৪ পরগনার ১৭, পূর্ব বর্ধমানের ৮, উত্তর দিনাজপুর ও নদিয়ার ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ৪ জেলার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বুথ অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।