কলকাতা:  প্রথম দফার ভোটের দিনই বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির। একটি অডিও ক্লিপ শুনিয়ে তারা দাবি করেছে, ভোটে সাহায্য চেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  জবাব দিয়েছে তৃণমূল। 


বিজেপি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে দাবি করে, পরাজয়ের আঁচ পেয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে ফোন করে, তাঁকে সাহায্য করার জন্য আবেদন করেন।


এপ্রসঙ্গে, যাঁর কাছে ফোন এসেছে, সেই তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, মমতা আমাকে ফোন করেছিলেন। সহযোগিতার কথা বলেছিলেন। বলেছি সম্ভব নয়? সেই দলেকর সঙ্গে বিশ্বাসঘাকতা করতে পারব না।


 



 


অডিও ক্লিপ সংবাদমাধ্যমের সামনে আনা বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, উনি যদি এটা বলেন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিন। ২ তারিখ কী রেজাল্ট হবে এখনই বোঝা যাচ্ছে। ভয় পেয়ে গেছে।


পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।  দলের বর্ষীয়ান নেতা উল্টে দাবি করেন, মমতা যদি ফোন করেও থাকেন, তাহলেও কোনও ভুল করেননি। 


এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন করাকে জোরালো কণ্ঠে সমর্থন করেন সুব্রত। বলেন, যদি কোনও নিষ্ঠাবান কর্মী অন্য কোথাও চলে যায়, তাহলে একজন নেত্রী কি সুন্দরভাবে তাঁকে  অনুরোধ করতে পারে না? 


 



 


তিনি যোগ করেন, আর সেটাকে কুৎসিতভাবে, ব্যঙ্গাত্মক উপায়ে আপনাদের (সংবাদমাধ্য়মের) মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়ানো হবে? তাতে আগামীদিনে রাজনীতির সাধারণ মানটা কোথায় নেমে যায়? একটু ভেবে দেখবেন আপনারা। 


এই প্রেক্ষিতে নিজের রাজনৈতিক অতীতে ফিরে যান সুব্রত। বলেন, আমিও আমার রাজনৈতিক জীবনে এটা বহুবার দেখেছি। আমিও যখন অভিমান করে বাড়িতে বসেছিলাম, তখন কখনও প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, তো কখনও ইন্দিরা গাঁধী পর্যন্ত লোক পাঠিয়েছিলেন আমার মানভঞ্জনের জন্য। হয়ত চেষ্টা করে কখনও পেরেছেন, কখনও পারেননি। 


মমতার এই কাজের জন্য তাঁর অহঙ্কার হচ্ছে বলেও সাফ জানিয়ে দেন সুব্রত। বলেন, এই ফোন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অপরাধ তো করেইননি, উল্টে মমতার জন্য আজ আমার অহঙ্কার হচ্ছে। আই চুজ দ্য রাইট পার্সন ফর মাই লিডারশিপ।