কামারহাটি : গায়ে স্পর্শ করে তাঁকে আটকেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ তুললেন কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মদন মিত্র। শুধু তাই নয়, তাঁর অভিযোগ, সিআরপিএফ জওয়ান এবং ভোটকর্মীরা বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। সেই কারণে তাঁকে আটকানো হয়েছে। ঘটনা নিয়ে তিনি কমিশনে নালিশ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।


পঞ্চম দফায় উত্তর ২৪ পরগনার ১৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কামারহাটি। এখানে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। এবার এই গড় পুনরুদ্ধারের লড়াই তাঁর। তাই দিদি তাঁকে প্রার্থী করার পর থেকেই কামারহাটির মাটি কামড়ে পড়ে আছেন মদন। শেষ মুহূর্তেও যাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি না থাকে সেই চেষ্টাই করছেন তিনি।


আজ সকাল সকাল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে পড়েন ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। কিন্তু, আড়িয়াদহ রমানন্দ চ্যারিটি বিদ্যালয়ের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তিনি গেলে তাঁকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। বাধা পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মদন। তিনি অভিযোগ জানান, তাঁর গা স্পর্শ করে সার্চ করেছেন সিআরপিএফ জওয়ান। ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন।



পকেটে থাকা দেবদেবীদের ছবি দেখিয়ে বলেন, এটা সংবিধান নয়। এটা মা কালী। আমাকে স্পর্শ করবেন না। আমার নাম মদন মিত্র। বিষয়টি নিয়ে তিনি মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়ে দেন।


পাশাপাশি বুথ থেকে বেরিয়ে বলেন, "তোমরা লোকতন্ত্র নষ্ট করছ। প্রার্থীকে চেজ করছো ! কাকে ভয় দেখাচ্ছেন ..মদন মিত্রকে ? মা ভবতারিণীকে পকেটে সার্চ করছে ? এটাই হিন্দুত্ব বিজেপির ? মা দুর্গা, ভবতারিণী , রামপুরহাটের তারামা আছেন। আমাকে চমকে লাভ নেই।"


প্রিজাইডিং অফিসারও তাঁকে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। এর আগে রাতে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান মদন মিত্র। নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ। বলেন, বহিরাগত বোঝাতে রাতের বেলায় ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে চারটি বোমা মারা হয়েছে। বোমা মারলে বলে মার। ওদের হাতে বোমের ডালা, আর আমাদের হাতে ঠাকুরের মালা।