কলকাতা: ভোটপঞ্চমীর সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। বেশ কিছু জায়গায় প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা। তৃণমূল কংগ্রেসের মদন মিত্র, সুজিত বসু থেকে বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্র, ভট্টাচার্য একাধিক প্রার্থীকে বুথের ভেতর ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ।


আডিয়াদহের এক বুথকেন্দ্রে ঢোকার মুখে মদন মিত্রকে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের সঙ্গে হালকা বচসায় জড়ান কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী। কালিন্দীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী সুজিত বসুর বুথে ঢোকার পথ আটকে দাঁড়ায়। যা নিয়ে বাদানুবাদ হয়। বরানগরের বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্র, রাজারহাট-গোপালপুরের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যও বুথে ঢুকতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন।




 


বুথে ঢুকতে বাধা পেয়ে সেখান থেকেই অবজার্ভারকে ফোন করলেন সুজিত বসু। সুজিত বসু বলেন, "আমি বুথ পরিদর্শনে বেরিয়েছি। আমার সঙ্গে কেউ নেই, একাই ছিলাম। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী আমি গিয়েছি। কালিন্দীর একটি বুথে এই সমস্যাটা দেখলাম। আমি অবজার্ভারকে ফোনে জানিয়েছি।"


অন্যদিকে আড়িয়াদহতে কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিজের পরিচয়পত্র দেখিয়ে অবশ্য ভোটকেন্দ্রে ঢোকেন তিনি। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে বেশ রুষ্ট মদন মিত্র ঘটনার কথা কমিশনকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে নিজের কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে গিয়ে পরিস্থিতি দেখার কাজ শুরু করেন মদন মিত্র। নিজের বাড়িতে যজ্ঞ করে বাড়ি থেকে বের হন সুজিত বসু।


এদিকে, বরানগরের বিকেসি কলেজে ইভিএম বিভ্রাট হয়। দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ভোটাররা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বরানগরের বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্র। বিকেসি কলেজে অবশ্য ঢোকার মুখে বাধাপাত্র হন তিনি। যে প্রসঙ্গে পার্নো মিত্র বলেন, "আমাদের ঢুকতে দিচ্ছে না। বলছে মেশিন খারাপ। বলছে প্রার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। এখন অপেক্ষা করছি। যদি সমাধান না হয় নির্বাচন কমিশনকে জানাব।"




রাজারহাট-গোপালপুরের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যও বুথে ঢুকতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন বলেই অভিযোগ করেন।